ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চাঁদা তুলে শিক্ষা অফিসারকে সংবর্ধনা

মো: নাজিম উদ্দিন:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএনএম মাহবুব আলমকে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে চাঁদা তুলে লাখ টাকায় সংবর্ধনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হয়েছে।

জানা যায়, গত ৪ঠা এপ্রিল মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এএনএম মাহবুব আলম সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ফরিদপুরে বদলির আদেশ প্রদান করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়। পদোন্নতি ও বদলির আদেশ প্রকাশের পর টিও মাহবুব আলমকে বৃহৎআকারে সংবর্ধনা প্রদানের জন্য মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপজেলার ২০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উপর ৪শত টাকা করে চাঁদা নির্ধারন করেন। চাঁদা নির্ধারনের পর প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে একজন করে শিক্ষকের মাধ্যমে নির্ধারিত চাঁদার টাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত প্রায় লক্ষাধিক টাকায় ৪৮ইঞ্চি সনি এলইডি টিভিসহ বিভিন্ন উপঢৌকনের মাধ্যমে টিও মাহবুব আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকরা।

উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এককাধিক প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যাতা পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষক নেতাদের কথামত আমরা ৪শ করে টাকা দিয়েছি টিও স্যারকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য, শুধু সংবর্ধনা নয় এটা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তাদেরকে টাকা দিতে হয়। আমাদের ইচ্ছা না থাকলেও টাকা দিতে হয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক নেতাদের কথামত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। যারা টাকা না দেয় তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়।

মুরাদনগর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু কাউছার ভূইয়ার কাছে বিদ্যালয় চাঁদা আদায় করে টিওকে সংবর্ধনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো আমি মিটিংএ আছি।

চাঁদার টাকায় সংবর্ধনা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম মিটিংএ আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুল থেকে চাঁদা তুলে সংবর্ধনা দেয়া সম্পূর্ন নিয়ম বর্হিভূত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চাঁদা তুলে শিক্ষা অফিসারকে সংবর্ধনা

আপডেট সময় ০৫:১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮
মো: নাজিম উদ্দিন:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএনএম মাহবুব আলমকে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে চাঁদা তুলে লাখ টাকায় সংবর্ধনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হয়েছে।

জানা যায়, গত ৪ঠা এপ্রিল মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এএনএম মাহবুব আলম সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ফরিদপুরে বদলির আদেশ প্রদান করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়। পদোন্নতি ও বদলির আদেশ প্রকাশের পর টিও মাহবুব আলমকে বৃহৎআকারে সংবর্ধনা প্রদানের জন্য মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপজেলার ২০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উপর ৪শত টাকা করে চাঁদা নির্ধারন করেন। চাঁদা নির্ধারনের পর প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে একজন করে শিক্ষকের মাধ্যমে নির্ধারিত চাঁদার টাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত প্রায় লক্ষাধিক টাকায় ৪৮ইঞ্চি সনি এলইডি টিভিসহ বিভিন্ন উপঢৌকনের মাধ্যমে টিও মাহবুব আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকরা।

উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এককাধিক প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যাতা পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষক নেতাদের কথামত আমরা ৪শ করে টাকা দিয়েছি টিও স্যারকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য, শুধু সংবর্ধনা নয় এটা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তাদেরকে টাকা দিতে হয়। আমাদের ইচ্ছা না থাকলেও টাকা দিতে হয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক নেতাদের কথামত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। যারা টাকা না দেয় তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়।

মুরাদনগর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু কাউছার ভূইয়ার কাছে বিদ্যালয় চাঁদা আদায় করে টিওকে সংবর্ধনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো আমি মিটিংএ আছি।

চাঁদার টাকায় সংবর্ধনা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম মিটিংএ আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুল থেকে চাঁদা তুলে সংবর্ধনা দেয়া সম্পূর্ন নিয়ম বর্হিভূত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।