মো: হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের শাহেদাগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনে ব্যাপক দূনীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নব-গঠিত ঐ বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে ঐ স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আজগরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহজাহান, আব্দুল ওয়াদুদ সওদাগর, হাজী আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারী, হাজী আব্দুল ওয়াদুদ, হাজী জয়নাল আবেদীন, মোস্তাক আহমেদ, শরিফ আহম্মেদ, মিজানুর রহমান, ডাক্তার নাজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম পুলিশ, নজরুল ইসলাম, আবুল কাশেম ও জাকির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কমিটির সভাপতি আলী আজগরসহ সকল সদস্যদের বাদ দিয়ে কেনু মিয়া মাষ্টারের নেতৃত্বে ছোট ভাই রকিব উদ্দিন ও নাত বউ হেপী আক্তারকে অভিভাবক সদস্য, মেয়ের জামাই জসিম উদ্দিন ভুইয়াকে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে রেখে শাহেদাগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বির্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নব-গঠিত কমিটির সভাপতি কেনু মিয়া মাষ্টারের বিরুদ্ধে কমিটির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ও অভিভাবক সদস্য হেপী আক্তারের স্বাক্ষর জ্বাল করারও অভিযোগ ওঠেছে। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের দাতারা সকলে সম্মিলিত ভাবে সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহজাহানকে দাতা সদস্য হিসেবে কমিটিতে রাখার কথা লিখিত ভাবে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে তাকে রাখা হয়নি বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। গঠিত পকেট কমিটিকে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক একেএম জাকির হোসেন, শিক্ষক সমিতির জনৈক নেতা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তারা সহায়তা করেছেন বলেও বক্তারা অভিযোগ করেছেন। বক্তারা আরো বলেন, কমিটি গঠনের লক্ষে কোন প্রকার নিয়ম না মেনেই কেনু মিয়া মাষ্টার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের পকেট কমিটি গঠন করে। অধিবেশন বহিতে দেখা যায়, কমিটি গঠনের সভা অনুষ্ঠিত হয় দুপুর আড়াইটায়। কিন্তুু ওই দিনই সকাল ১০টায় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অধিবেশনে উল্লেখ করা হয়। এতে কমিটিতে রাখা ১১ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারোর উপস্থিতির স্বাক্ষর নেই। অধিবেশনটিতে নিয়ম অনুযায়ী আলী আজগর সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তা না হয়ে কেনু মিয়া মাষ্টার নিজেই সভাপতিত্ব করেছে। বিদ্যালয়ের ১২ নং অধিবেশনে এ ধরনের গড়মিল থাকাটাই প্রমানীত হয় এ কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি অভিযোগ প্রমাণীত হয় তাহলে শিক্ষা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে ওই কমিটি বাতিল করা হবে।
এ ব্যাপারে নব-গঠিত কমিটির সভাপতি কেনু মিয়া মাষ্টারের (মোবাইল নং-০১৭২০-০০৪৪৫৭) সাথে যোগাযোগ করা করা তিনি উক্ত বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।