ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে বজ্রপাত ও বিদ্যূৎস্পৃষ্টে নিহত ৬

মো: নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্নস্থানে বজ্রপাতে ৩ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১ জন, আত্মহত্যায় ১ জন ও জানালায় মাথা আটকে পড়ে এক শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় আহত হয়েছে এক জন।

বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার যাত্রাপুর, কড়ইবাড়ী, রহিমপুর ও চাপিতলা গ্রামে এই ঘটনা গুলো ঘটে।

বজ্রপাতে নিহতরা হলেন, যাত্রাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া(১৮) একই পাড়ার হামিদ মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া(১৪), আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রুবেল মিয়া(২৭)। বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নিহত জীবন মিয়া(৩৫) চাপিতলা গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত বারেক মিয়ার ছেলে, এসময় আহত। জানালায় মাথা আটকে মৃত্যু শিশু আবদুল্লাহ(২)যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিনপাড়ার ইউসুফ মিয়ার শিশুপুত্র।

জানা যায়, উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিন পাড়া খেলার মাঠ সংলগ্ন বোরোর ফসলি জমিতে সেলিম, ইমনসহ বেশ কয়েকজন কিশোর দিনমজুর হিসেবে ধান কাটতে যায়। বিকেলে হঠাৎ বৃষ্ঠি শুরু হওয়ায় ইমন ও সেলিম দৌড়ে বাড়ী ফেরার পথে মাঠের মধ্যেই বজ্রপাতে পতিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরন করে। একই সময়ে আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামে কৃষি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে রুবেল মিয়া নামের একজন কৃষক নিহত হয়।

অপরদিকে বুধবার বিকেলে বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে চাপিতলা সরকার বাড়ী সংলগ্ন বিদ্যুৎতের একটি খুটি ঝড়ে হেলে পড়রে। হেলে পড়া ঘুটিটি সোজা করার সময় স্থানীয় ৮/৯ জন চেষ্ঠা করার সময় হঠাৎ একটি বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে পড়লে বিদ্যূৎস্পৃষ্ট হয়ে জীবন মিয়া(৩৫) ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এসময় ইসমত আলী(৪০) নামে একজন আহত হয়।

এদিকে একই সময় যাত্রাপুর পশ্চিমপাড়ার ইউসুফ মিয়ার দুই বছরের শিশুপুত্র আবদুল্লাহ তার বসত ঘরের বিছানায় খেলা করার সময় বিছানা সংলগ্ন জানালার কাঠের ফাকে মাথা আটকে মারা যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে রহিমপুর সওদাগর পাড়ার মুক্তার হোসেনেরে ছেলে কাউছার(২৭) গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর আলম ও বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে বজ্রপাত ও বিদ্যূৎস্পৃষ্টে নিহত ৬

আপডেট সময় ১২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮
মো: নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্নস্থানে বজ্রপাতে ৩ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১ জন, আত্মহত্যায় ১ জন ও জানালায় মাথা আটকে পড়ে এক শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় আহত হয়েছে এক জন।

বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার যাত্রাপুর, কড়ইবাড়ী, রহিমপুর ও চাপিতলা গ্রামে এই ঘটনা গুলো ঘটে।

বজ্রপাতে নিহতরা হলেন, যাত্রাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া(১৮) একই পাড়ার হামিদ মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া(১৪), আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রুবেল মিয়া(২৭)। বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নিহত জীবন মিয়া(৩৫) চাপিতলা গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত বারেক মিয়ার ছেলে, এসময় আহত। জানালায় মাথা আটকে মৃত্যু শিশু আবদুল্লাহ(২)যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিনপাড়ার ইউসুফ মিয়ার শিশুপুত্র।

জানা যায়, উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিন পাড়া খেলার মাঠ সংলগ্ন বোরোর ফসলি জমিতে সেলিম, ইমনসহ বেশ কয়েকজন কিশোর দিনমজুর হিসেবে ধান কাটতে যায়। বিকেলে হঠাৎ বৃষ্ঠি শুরু হওয়ায় ইমন ও সেলিম দৌড়ে বাড়ী ফেরার পথে মাঠের মধ্যেই বজ্রপাতে পতিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরন করে। একই সময়ে আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামে কৃষি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে রুবেল মিয়া নামের একজন কৃষক নিহত হয়।

অপরদিকে বুধবার বিকেলে বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে চাপিতলা সরকার বাড়ী সংলগ্ন বিদ্যুৎতের একটি খুটি ঝড়ে হেলে পড়রে। হেলে পড়া ঘুটিটি সোজা করার সময় স্থানীয় ৮/৯ জন চেষ্ঠা করার সময় হঠাৎ একটি বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে পড়লে বিদ্যূৎস্পৃষ্ট হয়ে জীবন মিয়া(৩৫) ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এসময় ইসমত আলী(৪০) নামে একজন আহত হয়।

এদিকে একই সময় যাত্রাপুর পশ্চিমপাড়ার ইউসুফ মিয়ার দুই বছরের শিশুপুত্র আবদুল্লাহ তার বসত ঘরের বিছানায় খেলা করার সময় বিছানা সংলগ্ন জানালার কাঠের ফাকে মাথা আটকে মারা যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে রহিমপুর সওদাগর পাড়ার মুক্তার হোসেনেরে ছেলে কাউছার(২৭) গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর আলম ও বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেছেন।