ঢাকা ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে বার্ষিক ওরশে সন্ত্রাসী হামলা : আটক ৪

হাবীবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল দরবার শরীফের বার্ষিক ওরশে মদ খেয়ে মাতলামী করাসহ অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলামকে তুলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান মনিরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতারপূর্বক জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার মুরাদনগর থানার এসআই বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা  ১০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন।

আটককৃতরা হলেন, আমপাল গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জহির মিয়া (৩০), মৃত মালেক সরকারের ছেলে আনিস মিয়া (৩৫), ছালিয়াকান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে তুষার মিয়া (২০) ও নেয়ামতকান্দি গ্রামের মৃত ছামাদ মুন্সীর ছেলে নুরুল ইসলামকে (৩৫)।

জানা যায়, ধামতী দরবার শরীফের পীর সূয়া মিয়া খন্দকারের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আমপাল দরবার শরীফের পীর সুরুজ মিয়া শিকদার বিগত ১৪/১৫ বছর যাবত ঝাঁকঝমকপূর্ণ ভাবে বার্ষিক ওরশ করে আসছে। গত সোমবার রাতে ওরশ চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মনিরের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মদ খেয়ে মাতলামী করাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দরবার শরীফের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় ওরশ উপলক্ষে দরবার শরীফে আসা শত শত ভক্তবৃন্দ ভয়ে আতংক ও উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়ে। তখন অফিসে বসা কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলামকে তুলে নেয়ার চেষ্টাকালে বাধাঁ দিলে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় এসআই আনোয়ার হোসেনসহ উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হয়ে বার্ষিক ওরশ’টি বাঞ্চাল করার চেষ্টা চালায়। তখন সন্ত্রাসীদের অবস্থা বেগতিক দেখে থানায় খবর দিলে এসআই মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁেছ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে বার্ষিক ওরশ’টি বাঞ্চাল করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ বাধাঁ দেওয়ার তাদের উপরও চড়াও হয়ে ওঠে। ৪ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস

মুরাদনগরে বার্ষিক ওরশে সন্ত্রাসী হামলা : আটক ৪

আপডেট সময় ০১:০৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০১৬
হাবীবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল দরবার শরীফের বার্ষিক ওরশে মদ খেয়ে মাতলামী করাসহ অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলামকে তুলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান মনিরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতারপূর্বক জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার মুরাদনগর থানার এসআই বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা  ১০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন।

আটককৃতরা হলেন, আমপাল গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জহির মিয়া (৩০), মৃত মালেক সরকারের ছেলে আনিস মিয়া (৩৫), ছালিয়াকান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে তুষার মিয়া (২০) ও নেয়ামতকান্দি গ্রামের মৃত ছামাদ মুন্সীর ছেলে নুরুল ইসলামকে (৩৫)।

জানা যায়, ধামতী দরবার শরীফের পীর সূয়া মিয়া খন্দকারের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আমপাল দরবার শরীফের পীর সুরুজ মিয়া শিকদার বিগত ১৪/১৫ বছর যাবত ঝাঁকঝমকপূর্ণ ভাবে বার্ষিক ওরশ করে আসছে। গত সোমবার রাতে ওরশ চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মনিরের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মদ খেয়ে মাতলামী করাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দরবার শরীফের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় ওরশ উপলক্ষে দরবার শরীফে আসা শত শত ভক্তবৃন্দ ভয়ে আতংক ও উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়ে। তখন অফিসে বসা কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলামকে তুলে নেয়ার চেষ্টাকালে বাধাঁ দিলে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় এসআই আনোয়ার হোসেনসহ উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হয়ে বার্ষিক ওরশ’টি বাঞ্চাল করার চেষ্টা চালায়। তখন সন্ত্রাসীদের অবস্থা বেগতিক দেখে থানায় খবর দিলে এসআই মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁেছ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে বার্ষিক ওরশ’টি বাঞ্চাল করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ বাধাঁ দেওয়ার তাদের উপরও চড়াও হয়ে ওঠে। ৪ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।