ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানানো হলো না পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থীর

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ২০৪টি প্রাইমারি স্কুলের মধ্যে ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় মহান বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হলো প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানে না এই স্মৃতি স্তম্ভ¢টি তৈরির পেছনের ইতিহাস। কচিমনে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করণের মূর্তময় এ ধরনের জাতীয় প্রতীকগুলো এখানকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের মননশীলতায় ভাষার প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি উত্তরোত্তর শ্রদ্ধাশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণকারী শহীদ মিনার নামক এ স্মৃতিস্তম্ভটি সকল প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার সুধীজনেরা।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন আর রশিদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্বাধীনতা, ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্মৃতিফলক শহীদ মিনার সম্পর্কে এখানকার শিক্ষার্থীদের ধারণা নামমাত্র। উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুলে শহীদ মিনার স্থাপনের পাশাপাশি এটি সম্পর্কে শিশুদের ভাষাগত জ্ঞান ও প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম জানান, এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক আগে থেকে শহীদ মিনার নেই। তাছাড়া এর জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দও নেই। তারপরও অন্য উপজেলা ও জেলায় নিজেরা যেভাবে করেছে আমরা সে মডেলকে অনুসরণ করার চেষ্টা করব।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানানো হলো না পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থীর

আপডেট সময় ০৩:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ২০৪টি প্রাইমারি স্কুলের মধ্যে ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় মহান বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হলো প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানে না এই স্মৃতি স্তম্ভ¢টি তৈরির পেছনের ইতিহাস। কচিমনে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করণের মূর্তময় এ ধরনের জাতীয় প্রতীকগুলো এখানকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের মননশীলতায় ভাষার প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি উত্তরোত্তর শ্রদ্ধাশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণকারী শহীদ মিনার নামক এ স্মৃতিস্তম্ভটি সকল প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার সুধীজনেরা।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন আর রশিদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্বাধীনতা, ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্মৃতিফলক শহীদ মিনার সম্পর্কে এখানকার শিক্ষার্থীদের ধারণা নামমাত্র। উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুলে শহীদ মিনার স্থাপনের পাশাপাশি এটি সম্পর্কে শিশুদের ভাষাগত জ্ঞান ও প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম জানান, এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক আগে থেকে শহীদ মিনার নেই। তাছাড়া এর জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দও নেই। তারপরও অন্য উপজেলা ও জেলায় নিজেরা যেভাবে করেছে আমরা সে মডেলকে অনুসরণ করার চেষ্টা করব।