ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ভূয়া দলিল জন্ম দাতা দলিল লিখক মোরশেদ

মাহবুব আলম আরিফঃ

ভূয়া দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গিয়ে পাবলিকের হাতে ধরা পরলে অফিস থেকে পালিয়ে যায় দলিল লিখক তকির আহমেদ মোরশেদ। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। প্রশ্ন রয়েছে তার এসএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট নিয়েও যার বলে সে ১৪৫ নং সনদে দলিল লিখককের কাজ করছে।

জানাযায়, গত আগষ্ট মাসের ১০ তারিখ উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের দুই ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও কাইয়ুম একই গ্রামের আলীমুদ্দীনের ছেলে আবদুল্লা আল নোমানের কাছ থেকে সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি নেয়ার জন্য মুরাদনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসনে। যেহেতু দলিল গ্রহিতা ও দাতার মধ্যে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই তাই তারা সাফ কবলা দলিল করে দেয়ার জন্য ঐ দলিল লিখককে ২৩ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ঐ দলিল লিখকের নানান তাল বাহানার কারনে সেই দিন আর দলিল রেজিষ্ট্রি মিলেনি দলিল গ্রহিতার মিলেছে রেজিষ্ট্রি না হওয়া দলিলের ফটোকপি। মোরশেদ তাদের কে বলেন অন্য একদিন আসেন দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেব। দির্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হলে মোরশেদ চাপ সইতে না পেরে তাদের কে গত বৃহস্পতিবার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসতে বলেন। তারা আসার পর দলিল রেজিষ্ট্রি করতে জাবে এমন সময় দলিল দাতা নোমানের সন্ধেহ জাগে তাই ঐ দলিল লিখকের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি চাইলে সে দিতে অস্বিকার করেন। এক পর্যায়ে জোর পূর্বক মোরশেদের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি নিয়ে দেখা যায়। সে সাফ কবলা দলিলের পরিবর্তে দাতা ও গ্রহিতাকে রক্তের সম্পর্ক দেখিয়ে ভাই বানিয়ে হেবার ঘোষনা দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য অফিসের দিকে যাচ্ছে। তখন দলিল দাতা নোমান বাধা দিলে মোরশেদ নোমানের সাথে খারাপ আচরন করে এক পর্যায় অফিস থেকে পালিয়ে যায়। পরে নোমান মোরশেদ কে খুজে না পেয়ে দলিল লিখক সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছে তার বিরুদ্ধে বিচার চান।

রফিকুল ইসলাম জানান, আমাকে বিষয়টি জানানো হলে আমি দলিল লিখক মোরশেদ কে ফোন করে ডেকে আনি। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে আমার সাথে উল্টো উত্তেজিত হয়ে বলে আমি এ ব্যাপারে কিছুই যানি না। আমরা আগামী সোমবার  সমিতির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে বিচার ডেকেছি। যদি মোরশেদ বিচার না মানে তাহলে আমরা তাকে আইনের হাতে তুলে দেব।

অভিযুক্ত মোরশেদ জানান, আমি এই দলিলের ব্যাপারে কিছুই জানিনা অফিসের একটি মহল আমাকে ফাসানোর জন্য এই ঘটনাটি সজিয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

মুরাদনগরে ভূয়া দলিল জন্ম দাতা দলিল লিখক মোরশেদ

আপডেট সময় ০৪:২২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৭
মাহবুব আলম আরিফঃ

ভূয়া দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গিয়ে পাবলিকের হাতে ধরা পরলে অফিস থেকে পালিয়ে যায় দলিল লিখক তকির আহমেদ মোরশেদ। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। প্রশ্ন রয়েছে তার এসএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট নিয়েও যার বলে সে ১৪৫ নং সনদে দলিল লিখককের কাজ করছে।

জানাযায়, গত আগষ্ট মাসের ১০ তারিখ উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের দুই ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও কাইয়ুম একই গ্রামের আলীমুদ্দীনের ছেলে আবদুল্লা আল নোমানের কাছ থেকে সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি নেয়ার জন্য মুরাদনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসনে। যেহেতু দলিল গ্রহিতা ও দাতার মধ্যে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই তাই তারা সাফ কবলা দলিল করে দেয়ার জন্য ঐ দলিল লিখককে ২৩ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ঐ দলিল লিখকের নানান তাল বাহানার কারনে সেই দিন আর দলিল রেজিষ্ট্রি মিলেনি দলিল গ্রহিতার মিলেছে রেজিষ্ট্রি না হওয়া দলিলের ফটোকপি। মোরশেদ তাদের কে বলেন অন্য একদিন আসেন দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেব। দির্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হলে মোরশেদ চাপ সইতে না পেরে তাদের কে গত বৃহস্পতিবার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসতে বলেন। তারা আসার পর দলিল রেজিষ্ট্রি করতে জাবে এমন সময় দলিল দাতা নোমানের সন্ধেহ জাগে তাই ঐ দলিল লিখকের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি চাইলে সে দিতে অস্বিকার করেন। এক পর্যায়ে জোর পূর্বক মোরশেদের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি নিয়ে দেখা যায়। সে সাফ কবলা দলিলের পরিবর্তে দাতা ও গ্রহিতাকে রক্তের সম্পর্ক দেখিয়ে ভাই বানিয়ে হেবার ঘোষনা দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য অফিসের দিকে যাচ্ছে। তখন দলিল দাতা নোমান বাধা দিলে মোরশেদ নোমানের সাথে খারাপ আচরন করে এক পর্যায় অফিস থেকে পালিয়ে যায়। পরে নোমান মোরশেদ কে খুজে না পেয়ে দলিল লিখক সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছে তার বিরুদ্ধে বিচার চান।

রফিকুল ইসলাম জানান, আমাকে বিষয়টি জানানো হলে আমি দলিল লিখক মোরশেদ কে ফোন করে ডেকে আনি। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে আমার সাথে উল্টো উত্তেজিত হয়ে বলে আমি এ ব্যাপারে কিছুই যানি না। আমরা আগামী সোমবার  সমিতির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে বিচার ডেকেছি। যদি মোরশেদ বিচার না মানে তাহলে আমরা তাকে আইনের হাতে তুলে দেব।

অভিযুক্ত মোরশেদ জানান, আমি এই দলিলের ব্যাপারে কিছুই জানিনা অফিসের একটি মহল আমাকে ফাসানোর জন্য এই ঘটনাটি সজিয়েছে।