ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি উদযাপিত

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। হিন্দু ধর্ম মতে, সত্যের উজ্জ্বল আলো অন্ধকারে ঢেকে রাখতে চায় দুষ্ট ও দুর্বৃত্তরা। অহংকারে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে অসুর হয়ে ওঠে তারা। অসুর ও অযোগ্যরা সৎ ও যোগ্যদের দাবিয়ে রাখতে চায়। এই দুষ্টদের দমন করে সৎ মানুষদের রক্ষার জন্য অবতার হয়ে বারবার পৃথিবীতে এসেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। দ্বাপর যুগে অবতার হয়ে মানুষকে নতুন করে চলার পথ দেখাতেই এই দিনে পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটে।

শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভক্তের কাছে ঈশ্বর, ভগবান, গোবিন্দ, পরমেশ্বর, অবতারসহ বিভিন্ন নামে অভিহিত হয়ে থাকেন। আজ ভক্তরা উপবাস থেকে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা ও পূজা, গীতাযজ্ঞ, জন্মাষ্টমী মিছিল, কৃষ্ণপূজা, পদাবলি কীর্তন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করতে চেয়েছেন। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্যে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে, মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো একসময়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল দ্বাপর যুগে। পাশবিক শক্তিকে দমন করে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য তাঁর আবির্ভাব ঘটেছিল পূর্ণ অবতার রূপে।

শ্রীকৃষ্ণের বাবা বাসুদেব আর মায়ের নাম দেবকী। তিনি পিতা-মাতার অষ্টম ছেলে ছিলেন। রাজা উগ্রসেনের ছেলে কংসের কারাগারে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে বাসুদেব দেখেছিলেন শিশুটির চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম। ওই দৃশ্য দেখেই তিনি বুঝতে পারেন, নারায়ণ তাঁদের ঘরেই জন্ম নিয়েছেন। বাল্যকাল থেকেই কৃষ্ণ অলৌকিক শক্তির প্রমাণ দেন পুতনাবধ, দামবন্ধন লীলা, কলীয়দমন— এসব লীলার মাধ্যমে।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটি র‌্যালী ও আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুরাদনগর উপজেলার সাংসদ ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু এবং অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পার্থ সারথী দত্ত।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি উদযাপিত

আপডেট সময় ০৯:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৬
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। হিন্দু ধর্ম মতে, সত্যের উজ্জ্বল আলো অন্ধকারে ঢেকে রাখতে চায় দুষ্ট ও দুর্বৃত্তরা। অহংকারে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে অসুর হয়ে ওঠে তারা। অসুর ও অযোগ্যরা সৎ ও যোগ্যদের দাবিয়ে রাখতে চায়। এই দুষ্টদের দমন করে সৎ মানুষদের রক্ষার জন্য অবতার হয়ে বারবার পৃথিবীতে এসেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। দ্বাপর যুগে অবতার হয়ে মানুষকে নতুন করে চলার পথ দেখাতেই এই দিনে পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটে।

শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভক্তের কাছে ঈশ্বর, ভগবান, গোবিন্দ, পরমেশ্বর, অবতারসহ বিভিন্ন নামে অভিহিত হয়ে থাকেন। আজ ভক্তরা উপবাস থেকে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা ও পূজা, গীতাযজ্ঞ, জন্মাষ্টমী মিছিল, কৃষ্ণপূজা, পদাবলি কীর্তন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করতে চেয়েছেন। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্যে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে, মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো একসময়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল দ্বাপর যুগে। পাশবিক শক্তিকে দমন করে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য তাঁর আবির্ভাব ঘটেছিল পূর্ণ অবতার রূপে।

শ্রীকৃষ্ণের বাবা বাসুদেব আর মায়ের নাম দেবকী। তিনি পিতা-মাতার অষ্টম ছেলে ছিলেন। রাজা উগ্রসেনের ছেলে কংসের কারাগারে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে বাসুদেব দেখেছিলেন শিশুটির চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম। ওই দৃশ্য দেখেই তিনি বুঝতে পারেন, নারায়ণ তাঁদের ঘরেই জন্ম নিয়েছেন। বাল্যকাল থেকেই কৃষ্ণ অলৌকিক শক্তির প্রমাণ দেন পুতনাবধ, দামবন্ধন লীলা, কলীয়দমন— এসব লীলার মাধ্যমে।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটি র‌্যালী ও আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুরাদনগর উপজেলার সাংসদ ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু এবং অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পার্থ সারথী দত্ত।