ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সদস্য সংগ্রহ নিয়ে আওয়ামীলীগ তৃনমূল নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শেষ হবার পর থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র নেতা কর্মীদের থেকে শুরু করে তৃনমূল নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত ।

জানাযায়, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের উদ্দ্যোগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের যে অনুষ্ঠানটি হয়েছে এতে স্থানীয় এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. রুহুল আমিন থেকে শুরু করে ১৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎসজীবীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের কোন সভাপতি-সাধারন সম্পাদক এবং অধিকাংশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পর্যন্ত উপস্থিতি না থাকায় তৃনমুল নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা জানান যেখানে কোন উপজেলা আওয়ামীলীগের মনোনিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ছিলোনা সেখানে কাদের নবায়ন করা হলো।

এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উপলক্ষে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তারা তাদের মতো করে অনুষ্ঠান করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি দ্ইু ভাগে বিভক্ত আমি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সাহেবের দলকে পছন্দ করি কারন তার সক্রিয় একটি কমিটি। আমার মনে হয় এই অনুষ্ঠানে আমাকে না জানানো তারই বহিঃপ্রকাশ।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুরাদনগর উপজেলায় আমার জানামতে আওয়ামীলীগের সিনিয়র রাজনীতিবিদের একজন আমি। প্রায় ২৮ বছর যাবৎ সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের সাথে আমি জরিত। অথচ সেই সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমে এই প্রথম আমাকে কিছু না জানিয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠান হয়েছে এতে আমি মর্মাহত।

কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমে আমিতো দুরের কথা স্থানিয় এমপি থেকে শুরু করে উপজেলার কোন সংগঠনের নেতা কর্মী ও ১৯জন চেয়ারম্যানকে পর্যন্ত জানানো হয়নি। আমাদের জানাবেই বা কি করে, যার উদ্দ্যোগে এই অনুষ্ঠান তিনি নিজে একজন দলছুট নেতা জাতিয় পার্টি থেকে এসেছে। এবং বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সাথে পরামর্শ করে এই অনুষ্ঠান করেছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক ছিলো যারা খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের সাথে রোহিঙ্গাদের ত্রান দিতে গিয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জেএসসি পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে ঢোল-বাজনার করনে কোমল মতি পরিক্ষার্থীদের যে সমস্যা হয়েছে এতে  প্রায় একশ পরিক্ষার্থীদের অভিবাক আমাকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর এই অনুষ্ঠানটি ছিলো সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম তারা কেবল জাহাঙ্গীর আলম সরকারের লোক জনকেই সদস্য নবায়ন করে অনুষ্ঠান শেষ করে দেন তারা কোন নতুন সদস্য সংগ্রহ করেন নাই।

মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগের আহব্বায়ক মোঃ ফয়সাল আহমেদ নাহিদ বলেন, অতিব দঃখের সাথে বলতে হয় যে জবে থেকে বুজতে শিখেছি তবে থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের উপর চলার চেষ্টা করেছি। অথচ মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু আমাদের কোন সংগঠনের কাউকে তারা জানায়নি। এতে উপজেলার অনেক নেতা-কর্মী আমার কাছে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে সদস্য সংগ্রহ নিয়ে আওয়ামীলীগ তৃনমূল নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

আপডেট সময় ০৪:৫৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শেষ হবার পর থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র নেতা কর্মীদের থেকে শুরু করে তৃনমূল নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত ।

জানাযায়, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের উদ্দ্যোগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের যে অনুষ্ঠানটি হয়েছে এতে স্থানীয় এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. রুহুল আমিন থেকে শুরু করে ১৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎসজীবীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের কোন সভাপতি-সাধারন সম্পাদক এবং অধিকাংশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পর্যন্ত উপস্থিতি না থাকায় তৃনমুল নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা জানান যেখানে কোন উপজেলা আওয়ামীলীগের মনোনিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ছিলোনা সেখানে কাদের নবায়ন করা হলো।

এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উপলক্ষে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তারা তাদের মতো করে অনুষ্ঠান করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি দ্ইু ভাগে বিভক্ত আমি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সাহেবের দলকে পছন্দ করি কারন তার সক্রিয় একটি কমিটি। আমার মনে হয় এই অনুষ্ঠানে আমাকে না জানানো তারই বহিঃপ্রকাশ।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুরাদনগর উপজেলায় আমার জানামতে আওয়ামীলীগের সিনিয়র রাজনীতিবিদের একজন আমি। প্রায় ২৮ বছর যাবৎ সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের সাথে আমি জরিত। অথচ সেই সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমে এই প্রথম আমাকে কিছু না জানিয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠান হয়েছে এতে আমি মর্মাহত।

কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমে আমিতো দুরের কথা স্থানিয় এমপি থেকে শুরু করে উপজেলার কোন সংগঠনের নেতা কর্মী ও ১৯জন চেয়ারম্যানকে পর্যন্ত জানানো হয়নি। আমাদের জানাবেই বা কি করে, যার উদ্দ্যোগে এই অনুষ্ঠান তিনি নিজে একজন দলছুট নেতা জাতিয় পার্টি থেকে এসেছে। এবং বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সাথে পরামর্শ করে এই অনুষ্ঠান করেছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক ছিলো যারা খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের সাথে রোহিঙ্গাদের ত্রান দিতে গিয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জেএসসি পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে ঢোল-বাজনার করনে কোমল মতি পরিক্ষার্থীদের যে সমস্যা হয়েছে এতে  প্রায় একশ পরিক্ষার্থীদের অভিবাক আমাকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর এই অনুষ্ঠানটি ছিলো সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম তারা কেবল জাহাঙ্গীর আলম সরকারের লোক জনকেই সদস্য নবায়ন করে অনুষ্ঠান শেষ করে দেন তারা কোন নতুন সদস্য সংগ্রহ করেন নাই।

মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগের আহব্বায়ক মোঃ ফয়সাল আহমেদ নাহিদ বলেন, অতিব দঃখের সাথে বলতে হয় যে জবে থেকে বুজতে শিখেছি তবে থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের উপর চলার চেষ্টা করেছি। অথচ মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু আমাদের কোন সংগঠনের কাউকে তারা জানায়নি। এতে উপজেলার অনেক নেতা-কর্মী আমার কাছে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।