মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে স্বামী মোহন মিয়া ও ভাশুর দেলোয়ার ডাক্তারের পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় গৃহবধূ শাওন আক্তারকে হত্যার চেষ্ঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গৃহবধূ শাওন আক্তার বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ স্বামী ও ভাশুরকে আটক করে।
আটকৃতরা হলেন স্বামী মোহন মিয়া ও ভাশুর দেলোয়ার হোসেন উপজেলার বাইড়া গ্রামের সৈয়দুর রহমানের ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে বাইড়া নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাইড়া গ্রামের শাওনের স্বামী মোহন মিয়া ও ভাশুর দেলোয়ার ডাক্তারের সাথে প্রবাসী বড় ভাই জাকির হেসেনেরে স্ত্রী ডলি আক্তারের সাথে পরকিয়ার সর্ম্পক তৈরী হয়। এ ঘটনাটি মোহন মিয়ার স্ত্রী শাওয় ৩১ আগস্ট দেখতে পেরে প্রতিবাধ করলে ঐই দিন রাতে স্বামী ও ভাশুর দেলোয়ার তাকে হত্যার উদ্দ্যের্শে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে গত শুক্রবার দুপুরে শাওন বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় স্বামী, ভাশুর ও বড় ভাশুরের স্ত্রী ডলি আক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গত শুক্রবার রাতে স্বামী মোহন মিয়া ও বাসুর ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়। শনিবার দুপুরে তাদের কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।