ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সড়ক ঘেঁষে ময়লার ভাগাড়, দুর্ভোগ শিক্ষার্থী ও পথচারী

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ব্যস্ত সড়কের পাশে জমে আছে ময়লা-আবর্জনার বিশাল ভাগাড়। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। কাপড়ে নাক ঢেকে চলছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর এলাকার গোলক রায়ের বাড়ীর পাশের প্রতিদিনের চিত্র এটি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৫ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে গঠিত মুরাদনগর উপজেলা সদর এলাকাটি। সদর এলাকায় ৮ হাজার ৯৬৫ পরিবারে ৫৭ হাজার মানুষের বসবাস। তার মধ্যে রয়েছে ১টি কলেজ, ২টি উচ্চবিদ্যালয়, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি কিন্ডার গার্টেন ও ১৭টি ছোট বড় মাদ্রাসার প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু উপজেলা সদর এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নেই কোনো নির্দিষ্ট স্থান। এর ফলে প্রতিদিন ট্রলিতে ভরে ময়লা এনে মুরাদনগর উপজেলা সদরের মুরাদনগর-হোমনা সড়কের পাশে ফেলছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। পাশাপাশি মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পাশে, মুরাদনগর পল্লিবিদ্যৎ অফিসের দক্ষিণ পাশে, মুরাদনগর বাস টার্মিনালের পাশে, মুরাদনগর নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের খালে, মুরাদনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশের খালে ও গোমতী নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়।

পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বলছেন, মুরাদনগর উপজেলা সদরে ময়লা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে যেখানে সুবিধা হয় সেখানেই ময়লা ফেলছে।

মুরাদনগর সদর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রহমান বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা মোটেও ঠিক নয়। ময়লা-আবর্জনা থেকে এলাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে। মশা-মাছি পোকামাকড় জন্ম নিচ্ছে। মাঝে মধ্যে এসব ময়লা মুখে নিয়ে কুকুর দৌড়াদৌড়ি করে বাড়ী ঘরের অবস্থা খুব খারাপ করে ফেলে।

মুরাদনগর কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী মেহনাজ ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আমাদের কলেজে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে খুব বাজে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে ওই স্থান দিয়ে যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হয়।’

কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাসা থেকে কলেজে যেতেও এটি একমাত্র রাস্তা। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে যে দুর্গন্ধ ছড়ায় তা শুধু কলেজের শিক্ষার্থী না বরং চলাচলের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব ময়লা আবর্জনা এখান থেকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে মাষ্টার পাড়া যে আবাসিক এলাকাটি আছে সেখানে বসবাস করাটাই কষ্টদায়ক হয়ে যাবে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়টি দেখার জন্য আমি সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে বলেছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। অনেক কিছু বিবেচনা করেই জায়গা নির্ধারণ করতে হয়। তবে আশা করছি খুব দ্রুতই জায়গা নির্ধারণ করা হবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে সালিশি বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আহত ৩

মুরাদনগরে সড়ক ঘেঁষে ময়লার ভাগাড়, দুর্ভোগ শিক্ষার্থী ও পথচারী

আপডেট সময় ০২:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ব্যস্ত সড়কের পাশে জমে আছে ময়লা-আবর্জনার বিশাল ভাগাড়। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। কাপড়ে নাক ঢেকে চলছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর এলাকার গোলক রায়ের বাড়ীর পাশের প্রতিদিনের চিত্র এটি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৫ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে গঠিত মুরাদনগর উপজেলা সদর এলাকাটি। সদর এলাকায় ৮ হাজার ৯৬৫ পরিবারে ৫৭ হাজার মানুষের বসবাস। তার মধ্যে রয়েছে ১টি কলেজ, ২টি উচ্চবিদ্যালয়, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি কিন্ডার গার্টেন ও ১৭টি ছোট বড় মাদ্রাসার প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু উপজেলা সদর এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নেই কোনো নির্দিষ্ট স্থান। এর ফলে প্রতিদিন ট্রলিতে ভরে ময়লা এনে মুরাদনগর উপজেলা সদরের মুরাদনগর-হোমনা সড়কের পাশে ফেলছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। পাশাপাশি মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পাশে, মুরাদনগর পল্লিবিদ্যৎ অফিসের দক্ষিণ পাশে, মুরাদনগর বাস টার্মিনালের পাশে, মুরাদনগর নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের খালে, মুরাদনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশের খালে ও গোমতী নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়।

পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বলছেন, মুরাদনগর উপজেলা সদরে ময়লা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে যেখানে সুবিধা হয় সেখানেই ময়লা ফেলছে।

মুরাদনগর সদর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রহমান বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা মোটেও ঠিক নয়। ময়লা-আবর্জনা থেকে এলাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে। মশা-মাছি পোকামাকড় জন্ম নিচ্ছে। মাঝে মধ্যে এসব ময়লা মুখে নিয়ে কুকুর দৌড়াদৌড়ি করে বাড়ী ঘরের অবস্থা খুব খারাপ করে ফেলে।

মুরাদনগর কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী মেহনাজ ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আমাদের কলেজে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে খুব বাজে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে ওই স্থান দিয়ে যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হয়।’

কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাসা থেকে কলেজে যেতেও এটি একমাত্র রাস্তা। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে যে দুর্গন্ধ ছড়ায় তা শুধু কলেজের শিক্ষার্থী না বরং চলাচলের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব ময়লা আবর্জনা এখান থেকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে মাষ্টার পাড়া যে আবাসিক এলাকাটি আছে সেখানে বসবাস করাটাই কষ্টদায়ক হয়ে যাবে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়টি দেখার জন্য আমি সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে বলেছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। অনেক কিছু বিবেচনা করেই জায়গা নির্ধারণ করতে হয়। তবে আশা করছি খুব দ্রুতই জায়গা নির্ধারণ করা হবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।