মো: ইমন মিয়া, পূর্ব ধৈইর পূর্ব ইউনিয়ন (মুরাদনগর) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধৈইর পূর্ব ইউনিয়নের ইষ্ট্র গ্রামা-নবীয়াবাদ সড়কের খোষঘর পশ্চিম পাড়া শেষ সীমান্তের তিনটি খালের মোহনার হওয়ার এর উপর কোন প্রকার ব্রীজ না থাকা ও সারা বৎসর জলাবদ্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে ৪শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের। বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।
এ স্থানে একটি ব্রীজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু আবেদন-নিবেদন করা হলেও বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এ পথে প্রতিদিন যাতায়তকারী প্রায় তিন হাজার চেয়ে বেশি লোকের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, নবীয়াবাদ, হাঁটাশ, মালি পাড়া, খৈয়াখালী, দৌলতপুর, চাপুড়সহ আশ-পাশের প্রায় ১২টি গ্রামের লক্ষাদিক মানুষ এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয় এবং বাঙ্গরা বাজার থানায় আসে। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দিকে নজর দিবে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর খোষঘর এলাকার এ সাঁকু দিয়ে প্রতি দিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর-পেশার মানুষসহ প্রায় তিন হাজার লোক যাতায়েত করে থাকে। কিন্তু ব্রীজের অভাব প্রায় ১০ একর কৃষি জমিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপন্য বাজারে আনতে ও গবাদি পশু পারাপারের সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে প্রতি বছরই এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে ও সহযোগিতায় নিজস্ব অর্থায়নে লাখ টাকা ব্যয়ে এই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়ে থাকে।
কখনো সাঁকুটি হয়ে পরছে ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পোহাতে হয় এ এলাকার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়য়া শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে সাকোঁর উপর দিয়ে দিনের পর দিন চলাচল করতে হচ্ছে। এ এলাকায় কোন প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে খালের এপাড় ও ওপাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখা-পড়া করতে হয়। যার ফলে অভিবাবকদের থাকতে হয় আতংকের মধ্যে। কখনো পা ফসকে বই-খাতা পড়ে যায় খালে, অনেকে আহত হয়ে ভয়ে লেখা-পড়া বন্ধ করে দিয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে জোয়ার আসে। শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা থাকে না। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার লোকজন অবহেলিত হয়ে বসবাস করছেন। দেশজুড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ এলাকা বঞ্চিত হয়ে আছে। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে কাঁধে করে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ব্রীজটি নির্মান করা হলে যানবাহন যোগে অসুস্থ ব্যক্তিসহ লোকজন খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন। এ এলাকার লোকজনের যাতায়াতে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলে স্থানীয়দের আশা।