ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ৬শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে শতাধিক পরিবার পারাপার

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিতাস-ডুমুড়িয়া-রামচন্দ্রপুর সড়কের পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের পুকুর পাড়া এলাকায় কোন প্রকার সড়ক না থাকা ও সারা বৎসর জলাবদ্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে ৬শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে প্রায় শতাধিক পরিবার।

এলাকাবাসীর পক্ষ বহু আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায়, এ পথে প্রতিদিন যাতায়তকারী প্রায় আট হাজার লোকের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের পুকুর পাড় এলাকায় বহুদিন থেকে প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর-পেশার মানুষ এ সাকুঁ দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু সড়কের অভাব প্রায় ২০ একর কৃষি জমিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপন্য ও গবাদি পশু পারাপারের সময় চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছ। কখনো সাঁকুটি হয়ে পরছে ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষাথর্সিহ বিভিন্ন পেশার লোকজন বাধ্য হয়ে সাকোঁর উপর দিয়ে দিনের পর দিন চলাচল করতে হচ্ছে প্রায় ৬শ’ফুট লম্বা সাকুঁটি দিয়ে। যাতে করে পরিবারের লোকদেরও থাকতে হয় আতংকের মধ্যে।

বর্ষা মৌসুমে জোয়ার আসে। শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা থাকে না। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার লোকজন অবহেলিত হয়ে বসবাস করছেন। দেশজুড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ এলাকা বঞ্চিত হয়ে আছে। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে কাঁধে করে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সড়কটি থাকলে যানবাহনযোগে অসুস্থ ব্যক্তিসহ লোকজন খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। এ এলাকার লোকজনের যাতায়াতেও নতুন দিগন্ত তৈরি হবে স্থানীয়দের আশা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে ৬শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে শতাধিক পরিবার পারাপার

আপডেট সময় ০৩:২২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিতাস-ডুমুড়িয়া-রামচন্দ্রপুর সড়কের পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের পুকুর পাড়া এলাকায় কোন প্রকার সড়ক না থাকা ও সারা বৎসর জলাবদ্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে ৬শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে প্রায় শতাধিক পরিবার।

এলাকাবাসীর পক্ষ বহু আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায়, এ পথে প্রতিদিন যাতায়তকারী প্রায় আট হাজার লোকের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের পুকুর পাড় এলাকায় বহুদিন থেকে প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর-পেশার মানুষ এ সাকুঁ দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু সড়কের অভাব প্রায় ২০ একর কৃষি জমিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপন্য ও গবাদি পশু পারাপারের সময় চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছ। কখনো সাঁকুটি হয়ে পরছে ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষাথর্সিহ বিভিন্ন পেশার লোকজন বাধ্য হয়ে সাকোঁর উপর দিয়ে দিনের পর দিন চলাচল করতে হচ্ছে প্রায় ৬শ’ফুট লম্বা সাকুঁটি দিয়ে। যাতে করে পরিবারের লোকদেরও থাকতে হয় আতংকের মধ্যে।

বর্ষা মৌসুমে জোয়ার আসে। শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা থাকে না। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার লোকজন অবহেলিত হয়ে বসবাস করছেন। দেশজুড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ এলাকা বঞ্চিত হয়ে আছে। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে কাঁধে করে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সড়কটি থাকলে যানবাহনযোগে অসুস্থ ব্যক্তিসহ লোকজন খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। এ এলাকার লোকজনের যাতায়াতেও নতুন দিগন্ত তৈরি হবে স্থানীয়দের আশা।