মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগে দেখা দিয়েছে চরম বিভক্তি। আ’লীগে কোন্দল থাকায় নির্বাচনী মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে অপর রাজনৈতিক দলবিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বিষয় ঘিরে আলোচিত-সমালোচিত কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আওয়মীলীগ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আবারও সেই সমালোচনায় ফিরে এসেছে উপজেলা আ’লীগ।
মুরাদনগরে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা না হলেও উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আ’লীগের রাজনৈতিক মাঠ। তবে নির্বাচন প্রস্তুতিতে থেমে নেই উপজেলার অন্য রাজনৈতিক দল গুলো। দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে দেখা দিয়েছে কোন্দল ও বিভক্তি। অপর দিকে আরেক রাজনৈতিক দল বিএনপি নীরবে চালিয়ে যাচ্ছে দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া। দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির কারনে এবারের ইউপি নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে আ’লীগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আ’লীগেরে মধ্যে একদিকে হলো প্রভাবশালী ও ত্যাগী নেতা কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নেতৃত্বে উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী নেতারা, অপরদিকে আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক, দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে আ’লীগ ও বিভিন্ন দলছুট নেতারা।
আ’লীগের দু’গ্রুপের নেতারা ইউনয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কাছে ফরম বিক্রয়ের নামে চালাচ্ছে ব্যবসা। এতে করে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দু’গ্রুপের এধরনের কার্যকলাপে ক্ষোভ ও হতাশার মধ্যে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেক নেতাকর্মী।
৬ষ্ঠ ধাপে এ উপজেলায় ইউপি নির্বাচন হলেও নির্বাচনী হাওয়া যথারিতী বইতে শুরুহয়েছে। আ’লীগের দলীয় প্রতীকে লড়াই করার আশায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অন্য বিএনপির প্রার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু দল থেকে ছাড়পত্র নিতে কোন গ্রুপকে সমর্থন দেবেন তা নিয়ে আ’লীগের প্রত্যাশিত প্রার্থীরা ভোগছেন বিভক্তিতে।