ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করন না হওয়ায় ক্ষোভ

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শ্রেষ্ঠ শ্রেনি শিক্ষক হওয়া ও বিভিন্ন পরিক্ষায় গড়ে শতকরা ৯০% পাশের হাড় হওয়ার পরও মুরাদনগর উপজেলার সদরের কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজটি জাতীয়করন না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হতাশায় দিন কাটাচ্ছে উপজেলার প্রায় ছয় লক্ষাদিক মানুষ। উপজেলা সদরে  কোন কলেজ না থাকা ও হতদরিদ্র ছাত্রদের উন্নত্য শিক্ষা লাভের জন্য ১৯৮৭ সালে তৎকালি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ উপজেলা সদরে মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্থানীয়রা কলেজটি জাতীয়করনের দাবি করে আসছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সদ্য প্রথম দফায় ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করনের তালিকায় কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের নাম না থাকায় মুরাদনগর বাসীর মধ্যে হত্যাশা দেখা দিয়েছে।

তবে বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি কলেজ ও মধ্যমিক পর্যায়ে একটি বিদ্যালয় জাতীয়করনের ঘোষনা করেন। এর মধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা সদরে অবস্থানরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করনের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টিকে প্রধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকায় এখনো আসায় বুক বেঁধে আছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা। পূর্বে মুরাদনগর উপজেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করন না হওয়ায় এবার কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ অচিরেই জাতীয়করনের আওতায় আসবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।

জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার নবীনগর, বাঞ্চারামপুর, দেবীদ্বার ও হোমনার ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা ও অল্প খরছে শিক্ষার সুবিধার্থে স্বয়ংসর্ম্পূন একমাত্র আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৭ সালে কুমিল্লা-৩(মুরাদনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ্ মোফাজ্জ হোসেন কায়কোবাদ কুমিল্লা উত্তর জেলার খেঁটে খাওয়া মানুষের ছেলে-মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো প্রজ্জলিত করার প্রযোজনীয়তা অনুভব করে তৎকালীন সময়ে তার পিতার নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৩.০১১ একর সম্পত্তি মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাস ভবনটি। আছে সুপরিসর তিনতলা বিশিষ্ট ৪টি একাডেমিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রী  থাকার আবাসিক ব্যবস্থা, গবেষনাগার, পুকুর, বিশাল খেলার মাঠ, সুবিশাল অডিটোরিয়াম, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব ও জামে মসজিদ রয়ছে।

কলেজের অধ্যক্ষ মো: সাদেকুল ইসলাম জানান, কলেজের অবকাঠামো ও আর্থিক অবস্থা এবং শিক্ষার কার্যক্রম অত্যন্ত ভাল। কলেজটি জাতীয়করন করা হলে এলাকার গরীব শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগর কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করন না হওয়ায় ক্ষোভ

আপডেট সময় ০৮:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শ্রেষ্ঠ শ্রেনি শিক্ষক হওয়া ও বিভিন্ন পরিক্ষায় গড়ে শতকরা ৯০% পাশের হাড় হওয়ার পরও মুরাদনগর উপজেলার সদরের কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজটি জাতীয়করন না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হতাশায় দিন কাটাচ্ছে উপজেলার প্রায় ছয় লক্ষাদিক মানুষ। উপজেলা সদরে  কোন কলেজ না থাকা ও হতদরিদ্র ছাত্রদের উন্নত্য শিক্ষা লাভের জন্য ১৯৮৭ সালে তৎকালি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ উপজেলা সদরে মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্থানীয়রা কলেজটি জাতীয়করনের দাবি করে আসছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সদ্য প্রথম দফায় ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করনের তালিকায় কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের নাম না থাকায় মুরাদনগর বাসীর মধ্যে হত্যাশা দেখা দিয়েছে।

তবে বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি কলেজ ও মধ্যমিক পর্যায়ে একটি বিদ্যালয় জাতীয়করনের ঘোষনা করেন। এর মধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা সদরে অবস্থানরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করনের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টিকে প্রধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকায় এখনো আসায় বুক বেঁধে আছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা। পূর্বে মুরাদনগর উপজেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করন না হওয়ায় এবার কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ অচিরেই জাতীয়করনের আওতায় আসবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।

জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার নবীনগর, বাঞ্চারামপুর, দেবীদ্বার ও হোমনার ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা ও অল্প খরছে শিক্ষার সুবিধার্থে স্বয়ংসর্ম্পূন একমাত্র আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৭ সালে কুমিল্লা-৩(মুরাদনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ্ মোফাজ্জ হোসেন কায়কোবাদ কুমিল্লা উত্তর জেলার খেঁটে খাওয়া মানুষের ছেলে-মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো প্রজ্জলিত করার প্রযোজনীয়তা অনুভব করে তৎকালীন সময়ে তার পিতার নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৩.০১১ একর সম্পত্তি মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাস ভবনটি। আছে সুপরিসর তিনতলা বিশিষ্ট ৪টি একাডেমিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রী  থাকার আবাসিক ব্যবস্থা, গবেষনাগার, পুকুর, বিশাল খেলার মাঠ, সুবিশাল অডিটোরিয়াম, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব ও জামে মসজিদ রয়ছে।

কলেজের অধ্যক্ষ মো: সাদেকুল ইসলাম জানান, কলেজের অবকাঠামো ও আর্থিক অবস্থা এবং শিক্ষার কার্যক্রম অত্যন্ত ভাল। কলেজটি জাতীয়করন করা হলে এলাকার গরীব শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।