মোঃ নাজিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
১৭ মে ২০১৫ ইং।( মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
মুরাদনগর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কেন্দ্রের প্রধান ও প্রভাবশালী কর্মকর্তা ডা: ছৈয়দ মো: নজরুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়ন ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার ফলে প্রাণী সম্পদ কেন্দ্র পরিণত হয়েছে কসাই খানায়!
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার প্রাণী সম্পদ কেন্দ্রের প্রভাবশালী কর্মকর্তা ডা: ছৈয়দ মো: নজরুল ইসলাম উপজেলার ভেটেনারী সার্জনের কার্য্যালয়ে যোগদানের পর থেকে সরকারী সকল প্রকার নিয়ম-বিধি ভঙ্গ করে নিজস্ব নিয়মে পরিচালিত করছেন। সরকারী ভাবে কেন্দ্রে বিনা মুল্যে পশুর চিকিৎসার বিধান থাকলেও এখানে টাকা ছাড়া হয় না কোন পশুর চিকিৎসা।টাকা না থাকলে সিএনজি ড্রাইভার থেকে ধার করে হলেও টাকা দিতে হয় পশুর চিকিৎসা পেতে হলে।
টাকা ছাড়া কোন চিকিৎসা হবে না কেন্দ্রের সকল সদস্যদের উপর এমন কড়াকড়ি আরোপ করে রেখেছেন ঔ প্রভাবশালী কর্মকর্তা। বিনা মুল্যে বিতরনের জন্য প্রাপ্ত সরকারী ঔষধও বিতরন করা হয় না। আর এসব কিছুর কার্য সাধনের জন্য রয়েছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বদান্যতায় রাতারাতি ডাক্তার বনে যাওয়া ড্রেসার আমির হোসেন। এই আমির হোসেন এখন এই প্রাণী সম্পদ কেন্দ্রে আগত সকল পশুর চিকিৎসা করছেন। ডাক্তার না হয়েও এই ড্রেসার আমির হোসেন কিভাবে পশুর চিকিৎসা করছেন তা কারোরই জানা নেই।
জানা যায়,গত ২৯ শে এপ্রিল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাহরামকান্দা গ্রামের মো: শাহজাহান মিয়ার একটি গাভী দিনদিন মোটা হয়ে যাচ্ছে দেখে গাভীর মালিক প্রাণী সম্পদ কেন্দ্র এসে বিষয়টি জানানোর পর ড্রেসার আমির হোসেন গাভীটিকে পরীক্ষা করে পেটে বাচ্চা নেই জানিয়ে গাভীটি দ্রুত বিক্রি করে দেয়ার জন্য গাভীর মালিকে পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে গাভীটি নিকটস্ত কসাইয়ের নিকট কম দামে বিক্রি করলে কসাই গাভীটিকে জবাই করে পেটের বাচ্চা দেখতে পেয়ে গাভীর বিক্রেতাকে বিষয়টি জানান। পরে গাভীর মালিক শাহজাহান মিয়া বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রাণী সম্পদ কেন্দ্রের প্রধান ও ড্রেসার আমির হোসেনকে চাপ প্রয়োগ করলে তারা ৪০হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন বলে জানা যায়।
এব্যাপারে ড্রেসার আমির হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উল্লেখিত সকল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি নিম্ম শ্রেণীর কর্মচারী, কর্মকর্তা আমাদের যেভাবে আদেশ করে আমরা সে ভাবেই কাজ করি। প্রধান কর্মকর্তার আদেশে সরকারী নিয়ম বহির্ভূত কাজ কেন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন উনার কথা না শুনলে আমাদের সাথে খারাপ আচরন করেন,তিনি বলেন আমাদের চাকুরী তার পায়ের নিচে, যখন ইচ্ছে তিনি চাকুরী খেয়ে নিবেন বলে হুমকি দেন।
উল্লেখিত কর্মকান্ডের ব্যপারে জানতে চাওয়া হয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (টি,এল,ও) ডাঃ : ছৈয়দ মো: নজরুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় ড্রেসার দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। আমার নির্দেশে ড্রেসার আমির হোসেন শাহজাহান মিয়ার গাভীটি পরীক্ষা করেন।
এবিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ডি,এল,ও) ডাঃ আবদুল মান্নান বলেন এসব বিষয় আমার জানা নেই। এখন যেহেতু জেনেছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।