ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর মুরাদনগরে খিড়া নদীতে নির্মাণ করা বাঁধ অপশারন

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে নির্মান করা বাঁধ অবশেষে অপশারন করা হয়েছে। গত ৩১ মার্চ “মুরাদনগরে খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে কৃষি জমির মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়” এ শিরোনামে মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডট কমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের। এসময় ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়ায় শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।

রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারন করেন।

জানা যায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান। পানি চলমান নদীতে বাঁধ নির্মানের ফলে চরম আকারে ব্যাহত হচ্ছিল কৃষি জমির সেচ কার্যক্রম। তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নেয়ায় হুমকিতে পড়েছে ঐ ইউনিয়নসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

এই নিয়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যাম মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডট কমসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে রোববার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের। রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারণ করেন। এসময় মুরাদনগর থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর নদীর বাঁধ অপসারণ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, খিড়া নদীর বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ার কাউকে শাস্তির আওতায় আনতে পারিনি। ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগর বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর মুরাদনগরে খিড়া নদীতে নির্মাণ করা বাঁধ অপশারন

আপডেট সময় ০৮:২৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে নির্মান করা বাঁধ অবশেষে অপশারন করা হয়েছে। গত ৩১ মার্চ “মুরাদনগরে খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে কৃষি জমির মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়” এ শিরোনামে মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডট কমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের। এসময় ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়ায় শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।

রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারন করেন।

জানা যায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান। পানি চলমান নদীতে বাঁধ নির্মানের ফলে চরম আকারে ব্যাহত হচ্ছিল কৃষি জমির সেচ কার্যক্রম। তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নেয়ায় হুমকিতে পড়েছে ঐ ইউনিয়নসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

এই নিয়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যাম মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডট কমসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে রোববার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের। রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারণ করেন। এসময় মুরাদনগর থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর নদীর বাঁধ অপসারণ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, খিড়া নদীর বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ার কাউকে শাস্তির আওতায় আনতে পারিনি। ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।