ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি অ্যাম্বুলেন্সই বিকল

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর সামনে পুকুরের পাড়ে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১০ বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স গুলো। অ্যাম্বুলেন্স গুলো বিকল হওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার রোগীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই গাড়ি গুলো চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এত করে স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহতসহ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ২০০৬ সালে বিকল হয়ে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘ সময় অচল পড়ে থাকায় ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। একইভাবে ২০১৩ সালে অচল হয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স দুটির যন্ত্রাংশও চুরি করে একটি চক্র বিক্রি করে দিয়েছে। উপজেলায় প্রায় ১৫ লাখ লোকের বসবাস। তাদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সচল রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।

এতে করে উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের বসবাসরত প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির হাজার হাজার লোকের ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা কাজে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো কাজে আসছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহের জানান, এখানে বর্তমানে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি অচল হয়ে আছে। বিকল অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি অ্যাম্বুলেন্সই বিকল

আপডেট সময় ০১:৩৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর সামনে পুকুরের পাড়ে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১০ বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স গুলো। অ্যাম্বুলেন্স গুলো বিকল হওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার রোগীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই গাড়ি গুলো চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এত করে স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহতসহ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ২০০৬ সালে বিকল হয়ে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘ সময় অচল পড়ে থাকায় ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। একইভাবে ২০১৩ সালে অচল হয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স দুটির যন্ত্রাংশও চুরি করে একটি চক্র বিক্রি করে দিয়েছে। উপজেলায় প্রায় ১৫ লাখ লোকের বসবাস। তাদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সচল রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।

এতে করে উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের বসবাসরত প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির হাজার হাজার লোকের ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা কাজে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো কাজে আসছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহের জানান, এখানে বর্তমানে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি অচল হয়ে আছে। বিকল অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।