ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করে তারা ইহুদি-খ্রিষ্টানদের এদেশীয় এজেন্ট —-প্রিন্সিপাল মাদানী

জাতীয় ডেস্কঃ

চরমোনাই কামিল মাদরাসা প্রিন্সিপাল ও জমিয়াতুল মোদাররেসীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, মুসলমানরা কোন সময়ই সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত ছিল না, এখনও নাই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মুসলমানরা করেনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও কোন মুসলমানরা করেনি। এসকল যুদ্ধে অংশ নিয়েছে যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদি শক্তিগুলো। কাজেই মুসলমানদেরকে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত করা ইহুদি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কারসাজি। আইএস, ওসামা বিন লাদেনের আলকায়দা আমেরিকার সৃষ্টি। কাজেই ইসলাম সন্ত্রাসবাদ, উগ্রতা সমর্থন করে না। যারা ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে তারা মুসলমান নয়, তারার জাহান্নামী।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মের নামে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিশাল মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

দক্ষিণ আহ্বায়ক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হুমায়ুন কবীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জাতীয়  তাফসীর পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দাওয়াতুসসুন্নাহ পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাস্টার আব্দুস সবুর, মাওলানা আনসার আহমদ পীর সাহেব কুমিল্লা,মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মাওলানা মানসুর আহমদ সাকী, মুহাম্মদ ইবরাহীম, মুহাম্মদ নাছির ও ঢাকা জেলা সদস্য সচিব মাওলানা নূর হোসাইন।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার।জাতীয় শিক্ষানীতিতে পরিপূর্ণ ধর্মীয় শিক্ষার অনুপুস্থিতি গুলশান ট্রাজেডির অন্যতম কারণ। কেননা  পরিপূর্ণ ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি কখনোই সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মের নামে মানুষ হত্যার মতো অমানবিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে না।

মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, সন্ত্রাসবাদ ইসলাম সমর্থন করেনা। যারা সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে তারা ইহুদি-খ্রিস্টানদের এদেশীয় দালাল। মুসলমানদের নামে এসব দালালদের চিহিৃত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।

তিনি আরো বলেন, সরলমনা মুসলিম যুবকদের টার্গেট করে ইহুদি-খ্রিস্টান এবং তাদের দোসররা বিশ্ব ব্যাপী ধর্মের নামে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে এসব অপকর্ম মোকাবেলা করতে হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করে তারা ইহুদি-খ্রিষ্টানদের এদেশীয় এজেন্ট —-প্রিন্সিপাল মাদানী

আপডেট সময় ০৪:০৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০১৬
জাতীয় ডেস্কঃ

চরমোনাই কামিল মাদরাসা প্রিন্সিপাল ও জমিয়াতুল মোদাররেসীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, মুসলমানরা কোন সময়ই সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত ছিল না, এখনও নাই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মুসলমানরা করেনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও কোন মুসলমানরা করেনি। এসকল যুদ্ধে অংশ নিয়েছে যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদি শক্তিগুলো। কাজেই মুসলমানদেরকে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত করা ইহুদি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কারসাজি। আইএস, ওসামা বিন লাদেনের আলকায়দা আমেরিকার সৃষ্টি। কাজেই ইসলাম সন্ত্রাসবাদ, উগ্রতা সমর্থন করে না। যারা ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে তারা মুসলমান নয়, তারার জাহান্নামী।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মের নামে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিশাল মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

দক্ষিণ আহ্বায়ক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হুমায়ুন কবীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জাতীয়  তাফসীর পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দাওয়াতুসসুন্নাহ পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাস্টার আব্দুস সবুর, মাওলানা আনসার আহমদ পীর সাহেব কুমিল্লা,মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মাওলানা মানসুর আহমদ সাকী, মুহাম্মদ ইবরাহীম, মুহাম্মদ নাছির ও ঢাকা জেলা সদস্য সচিব মাওলানা নূর হোসাইন।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার।জাতীয় শিক্ষানীতিতে পরিপূর্ণ ধর্মীয় শিক্ষার অনুপুস্থিতি গুলশান ট্রাজেডির অন্যতম কারণ। কেননা  পরিপূর্ণ ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি কখনোই সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মের নামে মানুষ হত্যার মতো অমানবিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে না।

মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, সন্ত্রাসবাদ ইসলাম সমর্থন করেনা। যারা সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে তারা ইহুদি-খ্রিস্টানদের এদেশীয় দালাল। মুসলমানদের নামে এসব দালালদের চিহিৃত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।

তিনি আরো বলেন, সরলমনা মুসলিম যুবকদের টার্গেট করে ইহুদি-খ্রিস্টান এবং তাদের দোসররা বিশ্ব ব্যাপী ধর্মের নামে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে এসব অপকর্ম মোকাবেলা করতে হবে।