অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গত সপ্তাহে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি বলেছিলেন যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে তার দেশ। আর এবার জাপানের নিকি এশিয়ান রিভিউ পত্রিকাকে গত বুধবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কিছু শরণার্থীকে ফেরত নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার এবং এই প্রক্রিয়া যেকোনো সময় শুরু হতে পারে।’
কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও সাংবাদিক মিলিয়ে অন্তত ৫শ’ মানুষের সামনে অপর এক বক্তৃতায় সু চি আরো বলেন, ‘বিশ্ব মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে মিয়ানমার।’ এসময় পূর্বের মতো আবারও তিনি বলেন যে, রোহিঙ্গারা কেন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তার কারণ খুঁজে বের করা হবে। আর এতে নতুন কোনো ফাঁকফোকর বের করতে চাচ্ছে মিয়ানমার, এমনটিই ধারণা করছেন অনেকে।
যদিও রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধন চালানো সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নীরব থাকা, পরবর্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কার্যকরী কোনো ভূমিকা পালন না করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক কটূক্তি ও সমালোচনার শিকার হন সু চি। গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর থেকেই রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান চলে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দমন-পীড়ন চলে তাদের ওপর। সহিংসতা থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সু চি। তাতেও তিনি মিথ্যাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।