ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ও তিস্তা ইস্যুতে কথা বলতে সুষমা স্বরাজ আসছেন রবিবার

জাতীয় ডেস্কঃ
চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও তিস্তা নিয়ে কথা বলতে রবিবার বাংলাদেশে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চতুর্থ যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে সুষমা স্বরাজ দু’দিনের সফরে ২২ অক্টোবর ঢাকা আসবেন।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান, ‘চরম মানবিক সংকট মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। বিগত ৬০ বছরের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো ফলপ্রসূ সমাধানে আসা যায়নি। আমরা মনে করি, এটা মিয়ানমারের সমস্যা এবং মিয়ানমারকেই অভ্যন্তরীণভাবে তার সমাধান করতে হবে। তবে এই সমস্যার কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এটা এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হুমকি তৈরি করেছে এবং এটি এমন এক আগুনের জন্ম দিয়েছে যার উত্তাপ আমাদের সবাইকে পোহাতে হচ্ছে।’
এর মধ্যে, রাখাইন থেকে গণহারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার সরকারের জন্য পরামর্শমূলক পাঁচটি নির্দেশনা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ, জানান রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। এছাড়া রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পানি বণ্টনে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ অনেক আশাবাদী জানিয়ে, ভারতকে এর বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার আহ্বান জানান সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী। তিনি বলেন, সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরে বিষয়টি উত্থাপিত হবে। দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

রোহিঙ্গা ও তিস্তা ইস্যুতে কথা বলতে সুষমা স্বরাজ আসছেন রবিবার

আপডেট সময় ১২:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও তিস্তা নিয়ে কথা বলতে রবিবার বাংলাদেশে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চতুর্থ যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে সুষমা স্বরাজ দু’দিনের সফরে ২২ অক্টোবর ঢাকা আসবেন।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান, ‘চরম মানবিক সংকট মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। বিগত ৬০ বছরের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো ফলপ্রসূ সমাধানে আসা যায়নি। আমরা মনে করি, এটা মিয়ানমারের সমস্যা এবং মিয়ানমারকেই অভ্যন্তরীণভাবে তার সমাধান করতে হবে। তবে এই সমস্যার কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এটা এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হুমকি তৈরি করেছে এবং এটি এমন এক আগুনের জন্ম দিয়েছে যার উত্তাপ আমাদের সবাইকে পোহাতে হচ্ছে।’
এর মধ্যে, রাখাইন থেকে গণহারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার সরকারের জন্য পরামর্শমূলক পাঁচটি নির্দেশনা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ, জানান রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। এছাড়া রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পানি বণ্টনে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ অনেক আশাবাদী জানিয়ে, ভারতকে এর বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার আহ্বান জানান সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী। তিনি বলেন, সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরে বিষয়টি উত্থাপিত হবে। দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।