ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাকসামে মানুষের মাথার খুলিসহ ৪১টি হাড় উদ্ধার

স্টাফ রির্পোটার, কুমিল্লাঃ

কুমিল্লার লাকসামে একটি খালে মাছ ধরার জন্য মাটি কেটে বাঁধ দেওয়াকালে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় মানুষের মাথার খুলিসহ ৪১টি হাড় পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার পোলাইয়া গ্রাম থেকে মাথার খুলি ও হাড়গুলো উদ্ধার করেছে লাকসাম থানা পুলিশ। আজ সোমবার সকালে মাথার খুলি ও হাড়গুলোর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই হাড়গুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য ঢাকা সিআইডিতে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।

এদিকে, উদ্ধার হওয়া হাড় ও খুলির সাথে হাতে ব্যবহৃত একটি হাত ঘড়ি ও মাছ ধরার জাল পাওয়া গেছে।  হাড় ও খুলির সাথে হাতের ঘড়ি এবং জাল দেখে ওই গ্রামের বাসিন্দা হারিছা বেগম নামে এক নারী ওই কঙ্কাল তাঁর স্বামী জসিম উদ্দিনের বলে দাবি করেছেন। পুলিশেরও প্রাথমিক ধারণা, উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি ও হাড়গুলো জসিমের। কারণ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে খালে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩০ জুলাই তাঁর স্ত্রী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পোলাইয়া গ্রামের ওই খালে পানি কমে আসায় স্থানীয় লোকজন পোলাইয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের অদূরে ব্রিজের নিচের অংশে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করছিল। এ সময় মাটি খুঁড়তেই হঠাৎ পুঁতে রাখা অবস্থায় মানুষের মাথার খুলিসহ বেশ কয়েকটি হাড় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি মাথার খুলিসহ সর্বমোট ৪১টি হাড় উদ্ধার করে।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাড়, মাথার খুলির সাথে হাতে ব্যবহৃত একটি ঘড়ি ও মাছ ধরার জাল পেয়েছে। উদ্ধারকৃত খুলি-হাড়ের সাথে ঘড়ি ও জাল দেখে পোলাইয়া গ্রামের হারিছা বেগম এগুলো তাঁর স্বামীর বলে দাবি করেছেন। তার স্বামী জসিম উদ্দিন গত বছরের জুলাই মাসে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর হারিছা বেগম ওই বছরের ৩০ জুলাই লাকসাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আমাদেরও প্রাথমিক ধারণা, উদ্ধারকৃত হাড় ও কঙ্কাল জসিম উদ্দিনেরই।

ওসি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে হত্যার পর ব্রিজের নিচে খালের মধ্যে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। আজ সোমবার সকালে উদ্ধারকৃত কঙ্কালের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ওই ব্যক্তির সঠিক পরিচয় সনাক্তের লক্ষ্যে হাড়গুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।

এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

লাকসামে মানুষের মাথার খুলিসহ ৪১টি হাড় উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:১২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
স্টাফ রির্পোটার, কুমিল্লাঃ

কুমিল্লার লাকসামে একটি খালে মাছ ধরার জন্য মাটি কেটে বাঁধ দেওয়াকালে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় মানুষের মাথার খুলিসহ ৪১টি হাড় পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার পোলাইয়া গ্রাম থেকে মাথার খুলি ও হাড়গুলো উদ্ধার করেছে লাকসাম থানা পুলিশ। আজ সোমবার সকালে মাথার খুলি ও হাড়গুলোর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই হাড়গুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য ঢাকা সিআইডিতে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।

এদিকে, উদ্ধার হওয়া হাড় ও খুলির সাথে হাতে ব্যবহৃত একটি হাত ঘড়ি ও মাছ ধরার জাল পাওয়া গেছে।  হাড় ও খুলির সাথে হাতের ঘড়ি এবং জাল দেখে ওই গ্রামের বাসিন্দা হারিছা বেগম নামে এক নারী ওই কঙ্কাল তাঁর স্বামী জসিম উদ্দিনের বলে দাবি করেছেন। পুলিশেরও প্রাথমিক ধারণা, উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি ও হাড়গুলো জসিমের। কারণ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে খালে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩০ জুলাই তাঁর স্ত্রী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পোলাইয়া গ্রামের ওই খালে পানি কমে আসায় স্থানীয় লোকজন পোলাইয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের অদূরে ব্রিজের নিচের অংশে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করছিল। এ সময় মাটি খুঁড়তেই হঠাৎ পুঁতে রাখা অবস্থায় মানুষের মাথার খুলিসহ বেশ কয়েকটি হাড় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি মাথার খুলিসহ সর্বমোট ৪১টি হাড় উদ্ধার করে।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাড়, মাথার খুলির সাথে হাতে ব্যবহৃত একটি ঘড়ি ও মাছ ধরার জাল পেয়েছে। উদ্ধারকৃত খুলি-হাড়ের সাথে ঘড়ি ও জাল দেখে পোলাইয়া গ্রামের হারিছা বেগম এগুলো তাঁর স্বামীর বলে দাবি করেছেন। তার স্বামী জসিম উদ্দিন গত বছরের জুলাই মাসে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর হারিছা বেগম ওই বছরের ৩০ জুলাই লাকসাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আমাদেরও প্রাথমিক ধারণা, উদ্ধারকৃত হাড় ও কঙ্কাল জসিম উদ্দিনেরই।

ওসি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে হত্যার পর ব্রিজের নিচে খালের মধ্যে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। আজ সোমবার সকালে উদ্ধারকৃত কঙ্কালের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ওই ব্যক্তির সঠিক পরিচয় সনাক্তের লক্ষ্যে হাড়গুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।

এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।