ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর জন্মগত ত্রুটি রোধে সন্তান ধারণের পূর্বেই রুবেলা ভ্যাকসিন নিন

স্বাস্থ্য ডেস্ক রির্পোটঃ
প্রতিটি বিবাহিত নারীর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত, আরাধ্য স্বপ্ন কোলজুড়ে আসুক একটি ফুটফুটে সুস্থ সবল সন্তান। আর এই সন্তানের জন্য থাকে কত পরিকল্পনা কত আয়োজন। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত সন্তান যাতে কোনো রোগ ব্যাধি নিয়ে জন্ম না নেয় তার জন্যও নিয়মিত হেলথ চেকআপ, মায়ের পুষ্টি, ভ্যাকসিনেশন সব কিছুর দিকে খেয়াল রাখা হয়। দফায় দফায় নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ।
কিভাবে একজন সন্তানসম্ভবা মা সুস্থ থেকে একটি সুন্দর সন্তানের জন্মদিতে পারেন তার ওপর বহু লেখা লিখেছি। এখনও সময় পেলে স্ত্রীরোগ ও গর্ভবতীদের পরিচর্যার ওপর লিখি। আমি সব সময় বলে থাকি মা হবার জন্য একটা যথাযথ পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু রুটিন চেকআপ নয়, গর্ভবতীর খাদ্য তালিকা, ভ্যাকসিনেশন এসবও পরিকল্পনারয় থাকতে হবে। আগে শুধু গর্ভাবস্থায় দু’টি টিটি টিকার কথা বলা হতো। এখন বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, সন্তান নিতে চান এমন নারীদেরও টিকার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে মেয়েদের ১৫ বছর বয়স হতেই টিটি টিকা দেওয়া শুরু করতে হবে। টিকা নিতে হবে ৫টি।
তবে গবেষকগণ একটি উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন। তা হচ্ছে, সন্তান নিতে আগ্রহী মায়েদের শুধু টিটি টিকাই যথেষ্ট নয়। অন্যান্য সব টিকার পাশাপাশি এমআর ভ্যাকসিন বা মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিনও দিতে হবে। তবে আশার কথা দেশের ইপিআই কর্মসূচীতে এখন টিটি টিকা দেওয়ার সময় এমআর ভ্যাকসিন বা মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পাশাপাশি রুপাভ্যাক্স-এম নামে বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্রাইভেট ভ্যাকসিন সেন্টারে পাওয়া যায় মিজেলস রুবেলার কার্যকরী ভ্যাকসিন। তাই জন্মগত রুবেলা সিনড্রোম প্রতিরোধে একটি মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দিয়ে শিশুকে জন্মগত রুবেলা সিনড্রোম থেকে সুরক্ষা দিতে পারেন সহজেই।
কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম একটি মারাত্মক রোগ, যা গর্ভাবস্থায় রুবেলার সংক্রমণ হলে গর্ভে বেড়ে উঠা শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করে। কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম এর কারণে শিশু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যেমন- বধিরতা, হার্টের সমস্যা, শ্রবণের সমস্যা, গ্লুকোমা এবং চোখে ছানি, অটিজম, ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা ইত্যাদিসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা নিয়ে শিশু জন্ম নিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১ লাখের বেশি শিশু কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে রুবেলা সংক্রমণ এর কারণে মিসক্যারিজ (গর্ভপাত) অথবা শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হচ্ছে কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম একটি জন্মগত রোগ, এর কোনো চিকিত্সা নেই।
কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে রুবেলা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা। ১৫ বছরের পর প্রতিটি নারীকে একটি মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দিতে হবে অথবা গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগে প্রতিটি নারীকে অবশ্যই একটি মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৩ মাস গর্ভধারণ করা যাবে না।
ট্যাগস

তারেক রহমান ও কায়কোবাদ মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় মুরাদনগরে মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনা

শিশুর জন্মগত ত্রুটি রোধে সন্তান ধারণের পূর্বেই রুবেলা ভ্যাকসিন নিন

আপডেট সময় ০১:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
স্বাস্থ্য ডেস্ক রির্পোটঃ
প্রতিটি বিবাহিত নারীর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত, আরাধ্য স্বপ্ন কোলজুড়ে আসুক একটি ফুটফুটে সুস্থ সবল সন্তান। আর এই সন্তানের জন্য থাকে কত পরিকল্পনা কত আয়োজন। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত সন্তান যাতে কোনো রোগ ব্যাধি নিয়ে জন্ম না নেয় তার জন্যও নিয়মিত হেলথ চেকআপ, মায়ের পুষ্টি, ভ্যাকসিনেশন সব কিছুর দিকে খেয়াল রাখা হয়। দফায় দফায় নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ।
কিভাবে একজন সন্তানসম্ভবা মা সুস্থ থেকে একটি সুন্দর সন্তানের জন্মদিতে পারেন তার ওপর বহু লেখা লিখেছি। এখনও সময় পেলে স্ত্রীরোগ ও গর্ভবতীদের পরিচর্যার ওপর লিখি। আমি সব সময় বলে থাকি মা হবার জন্য একটা যথাযথ পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু রুটিন চেকআপ নয়, গর্ভবতীর খাদ্য তালিকা, ভ্যাকসিনেশন এসবও পরিকল্পনারয় থাকতে হবে। আগে শুধু গর্ভাবস্থায় দু’টি টিটি টিকার কথা বলা হতো। এখন বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, সন্তান নিতে চান এমন নারীদেরও টিকার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে মেয়েদের ১৫ বছর বয়স হতেই টিটি টিকা দেওয়া শুরু করতে হবে। টিকা নিতে হবে ৫টি।
তবে গবেষকগণ একটি উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন। তা হচ্ছে, সন্তান নিতে আগ্রহী মায়েদের শুধু টিটি টিকাই যথেষ্ট নয়। অন্যান্য সব টিকার পাশাপাশি এমআর ভ্যাকসিন বা মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিনও দিতে হবে। তবে আশার কথা দেশের ইপিআই কর্মসূচীতে এখন টিটি টিকা দেওয়ার সময় এমআর ভ্যাকসিন বা মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পাশাপাশি রুপাভ্যাক্স-এম নামে বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্রাইভেট ভ্যাকসিন সেন্টারে পাওয়া যায় মিজেলস রুবেলার কার্যকরী ভ্যাকসিন। তাই জন্মগত রুবেলা সিনড্রোম প্রতিরোধে একটি মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দিয়ে শিশুকে জন্মগত রুবেলা সিনড্রোম থেকে সুরক্ষা দিতে পারেন সহজেই।
কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম একটি মারাত্মক রোগ, যা গর্ভাবস্থায় রুবেলার সংক্রমণ হলে গর্ভে বেড়ে উঠা শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করে। কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম এর কারণে শিশু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যেমন- বধিরতা, হার্টের সমস্যা, শ্রবণের সমস্যা, গ্লুকোমা এবং চোখে ছানি, অটিজম, ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা ইত্যাদিসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা নিয়ে শিশু জন্ম নিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১ লাখের বেশি শিশু কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে রুবেলা সংক্রমণ এর কারণে মিসক্যারিজ (গর্ভপাত) অথবা শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হচ্ছে কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম একটি জন্মগত রোগ, এর কোনো চিকিত্সা নেই।
কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে রুবেলা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা। ১৫ বছরের পর প্রতিটি নারীকে একটি মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দিতে হবে অথবা গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগে প্রতিটি নারীকে অবশ্যই একটি মিজেলস রুবেলা ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৩ মাস গর্ভধারণ করা যাবে না।