লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
খোকন হাসে ফোকলা দাঁতে চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে। শিশুদের দুধদাঁত পড়ার সাথে সাথেই সেখানে জায়গা করে নেয় স্থায়ী দাঁত। আর এই স্থায়ী দাঁতই রয়ে যায় সারাজীবন, তাই এই দাঁতের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, তা না হলে আপনার শিশু যখন বড় হবে তখনও কিন্তু ফোকলা দাঁতে হাসবে তবে পার্থক্য হচ্ছে, তখন আর সাথে চাঁদ হিসেবে না।
আপনার শিশুর স্থায়ী দাঁত সম্পর্কে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই সচেতন থাকতে হবে। সাধারণত ছয়-আট সপ্তাহের মধ্যে ভ্রূণের দুধদাঁতের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় মাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাদ্য বেশি করে খেতে হবে। শিশুর ছয় বছর বয়স থেকে দুধদাঁত পড়া শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। এ সময় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ক্লোরাইড এবং ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ডি’ জাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত। এসব সুষম খাদ্য দাঁতকে সুগঠিত করে। শিশুর দাঁতের যত্নে এবার কিছু পরামর্শ।
- মায়ের দুধ খাওয়ানোর পর নরম কাপড় বিশুদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে শিশুর দাঁত মুছে দিতে হবে।
- বোতলে দুধ খাওয়ানো শুরু করলে, চিনিমুক্ত দুধ দিতে হবে।
- বোতলের খাবার খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে তা সরিয়ে নিতে হবে।
- শিশুর অন্তত চার-পাঁচটি দাঁত উঠলে তা ফিঙ্গার ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করান।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজলে মুখটা সতেজ থাকে কিন্তু নাস্তার পর শুধু ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজলে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষ করে, রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই দাঁত মাজার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- দুই দাঁতের মধ্যবর্তী অংশটি ডেন্টাল ফ্লস বা আন্তদন্তীয় ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
- নির্দিষ্ট সময়ের আগে দুধের দাঁত ফেলে দিলে বা নষ্ট হলে, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।