ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষমেশ খোকনই আ.লীগের প্রার্থী!

জাতীয় :

সাঈদ খোকনেই ছিঁড়ছে মনোনয়নের শিকে! আওয়ামী লীগের প্রার্থী তবে তিনিই হচ্ছেন? এই নির্বাচনে তার বিকল্প কাউকে বেছে নিচ্ছে না দলটি। আপাতত এমন সিদ্ধান্তই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের। দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

দলীয় নীতিনির্ধারণী একাধিক সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন। এসময় তিনি অনেক কান্নাকাটি করেছেন। এবারের জন্য হলেও যেন তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করেছেন। বলেছেন, তার নেওয়া অনেক প্রকল্প মাঝপথে আছে। তিনি কাজগুলো শেষ করতে চান। তিনি এবার নির্বাচন করতে না পারলে তা আর সম্ভব হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় আরেকটি সূত্র জানায়, খোকন তার বাবা প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের কথা তুলে বলেছেন, বাবার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রীকেই তিনি অভিভাবক হিসেবে মনে করেন। তিনি যদি তার দিকে না তাকান তাহলে যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। খোকনের অনুনয়-বিনয়ের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যাও কাজ করো। আমি দেখবো।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন খোকন। তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বলেন, ‘আমার পিতা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। পিতার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি। আজ পিতা নাই, পিতা হারিয়েছি। পিতার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক। আমার জন্য তিনি যা ভালো মনে করবেন সেটাই করবেন।’

গত সাড়ে চার বছরে ঢাকা শহরের ইতিবাচক পরিবর্তন করেছেন দাবি করে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘আমি অনেক কাজ করেছি। কিছুটা কাজ বাকি আছে। আমি যেন বাকি কাজ শেষ করতে যেতে পারি।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘আজকে ঢাকাবাসীর কাছে দোয়া চাই। আমি কখনো কর্তব্যে অবহেলা করিনি। আজকে কঠিন সময়ে এ দেশের মানুষ যদি আমার পাশে থাকেন ইনশাল্লাহ আগামী পাঁচ বছর আমি আপনাদের পাশে থাকব।’

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেও ঢাকা দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের বিকল্প কোনো সম্ভাব্যপ্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু গত ২৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুই সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে হঠাৎ করেই জমে ওঠে আলোচনা।

এর মধ্যে অসুস্থতার কারণে হাজি সেলিমের দিকে মনোনয়নের পাল্লা না ঝুঁকলেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল, তিনি দলের সবুজ সংকেত না পেয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।

সাঈদ খোকনের বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন ঢাকার প্রথম মেয়র। আর ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন হানিফপুত্র খোকন।

জানতে চাইলে সাঈদ খোকন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে গণভবনে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাকে আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

শেষমেশ খোকনই আ.লীগের প্রার্থী!

আপডেট সময় ১১:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

জাতীয় :

সাঈদ খোকনেই ছিঁড়ছে মনোনয়নের শিকে! আওয়ামী লীগের প্রার্থী তবে তিনিই হচ্ছেন? এই নির্বাচনে তার বিকল্প কাউকে বেছে নিচ্ছে না দলটি। আপাতত এমন সিদ্ধান্তই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের। দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

দলীয় নীতিনির্ধারণী একাধিক সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন। এসময় তিনি অনেক কান্নাকাটি করেছেন। এবারের জন্য হলেও যেন তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করেছেন। বলেছেন, তার নেওয়া অনেক প্রকল্প মাঝপথে আছে। তিনি কাজগুলো শেষ করতে চান। তিনি এবার নির্বাচন করতে না পারলে তা আর সম্ভব হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় আরেকটি সূত্র জানায়, খোকন তার বাবা প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের কথা তুলে বলেছেন, বাবার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রীকেই তিনি অভিভাবক হিসেবে মনে করেন। তিনি যদি তার দিকে না তাকান তাহলে যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। খোকনের অনুনয়-বিনয়ের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যাও কাজ করো। আমি দেখবো।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন খোকন। তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বলেন, ‘আমার পিতা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। পিতার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি। আজ পিতা নাই, পিতা হারিয়েছি। পিতার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক। আমার জন্য তিনি যা ভালো মনে করবেন সেটাই করবেন।’

গত সাড়ে চার বছরে ঢাকা শহরের ইতিবাচক পরিবর্তন করেছেন দাবি করে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘আমি অনেক কাজ করেছি। কিছুটা কাজ বাকি আছে। আমি যেন বাকি কাজ শেষ করতে যেতে পারি।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘আজকে ঢাকাবাসীর কাছে দোয়া চাই। আমি কখনো কর্তব্যে অবহেলা করিনি। আজকে কঠিন সময়ে এ দেশের মানুষ যদি আমার পাশে থাকেন ইনশাল্লাহ আগামী পাঁচ বছর আমি আপনাদের পাশে থাকব।’

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেও ঢাকা দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের বিকল্প কোনো সম্ভাব্যপ্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু গত ২৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুই সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে হঠাৎ করেই জমে ওঠে আলোচনা।

এর মধ্যে অসুস্থতার কারণে হাজি সেলিমের দিকে মনোনয়নের পাল্লা না ঝুঁকলেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল, তিনি দলের সবুজ সংকেত না পেয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।

সাঈদ খোকনের বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন ঢাকার প্রথম মেয়র। আর ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন হানিফপুত্র খোকন।

জানতে চাইলে সাঈদ খোকন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে গণভবনে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাকে আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন।