ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ মূর্হতে জমে ওঠেছে মুরাদনগরের ঈদ বাজার

মোঃ ইমন মিয়া , পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়ন (মুরাদনগর) প্রতিনিধিঃ

আধুনিকতা আর রুচি সমন্বয় ঘটিয়ে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় এবার ঈদ পোষাকের বিপুল সমাহার ঘটে। মুরাদনগর পোশাকের মার্কেটগুলোকে বিক্রেতারা সাজিয়েছে রঙ-বেরঙের সাজে । তবে এবার দেশিয় কাপড়ের চাইতে বিদেশী কাপড়ে সয়লাব হয়ে ওঠে গোটা ঈদ মার্কেট ।

বিশেষ করে নীরাদের ভারতীয় পোষাক সয়মাল প্রতিটি দোকান ।মেয়েদেও শাড়ি , থ্রি পিছ, ছেলেদেও পাঞ্জাবী,শার্ট, প্যান্টসহ সকল প্রকার পোষাকই বাংলাদেশের ,ভারত, পাকিস্তানি, আর বিভিন্ন দেশীয় ও কাপড় আনা হয়ে থাকে।

মুরাদনগর উপজেলার সকল মার্কেট এবং বিপনী বিতান গুলোয় দেশি পোষাকের সাথে সাথে একন বিদেশী কাপড়ে ছড়াছড়ি ।

ব্যবসায় জানান, শেষ মূর্হতে পড়ে ধুম বিক্রি শুরু হয়। তখন শেষ মুর্হর্তের বিক্রির জন্য ওই সময়ে দোকানের কিছু নতুন নতুন আইটেমের তোলা হয়েছে । সেই প্রস্তুতি সকল দোকানেই রয়েছে ।

উপজেলায় কোম্পানীগঞ্জ কলেজ সুপার মার্কেট, কোম্পানীগঞ্জ পুরাতন মার্কেট, মুরাদনগর উপজেলা মার্কেট, বাঙ্গরা বাজার মার্কেট, গাজী হাট বাজার মার্কেট, রামচন্দ্রপুর বাজার মার্কেট এবং বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমহল ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, দেশী- বিদেশী জমকালো পোষাকে সাজানো হয়েছে দোকানগুলোতে।

দেশে নামকরা ব্রানেডর পাশাপাশি বিদেশী পোাকেরই বহন দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। তার মধ্যে প্রচুর ভারতীয় শাড়ী, লেহেঙ্গা, ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, বাচ্ছাদের পোশাকের সাজানো হয়েছে শপিংমহল ও দোকানগুলো।

এ দিকে কোম্পানীগঞ্জ কলেজ মার্কেট পোশাকের দামের বিষয়ে, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে কয়েকটি দোকান দারে কথা বলে  জানতে পারি, শিশুদের সুতি কাপড়ের দাম ২০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, জর্জেট কাপড়ের ১ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। দেশি সুতি কাপড়ের শার্ট পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার চাহিদা কিশোর ও তরুণদের কাছে বেশি। এসব পোশাকের দাম সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাধ্যের মধ্যেই আছে। পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার দাম ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তরুণীদের পছন্দ সুতি ও জর্জেট কাপড়ের থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা। এসব পোশাকের দাম ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আগের তুলনায় শাড়ির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। তবে টাঙ্গাইলের শাড়ির কদর আছে। শার্ট আর পাঞ্জাবির সঙ্গে লুঙ্গির চাহিদাও অনেক। লুঙ্গি ৩০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, ক্রেতাদের চাহিদার উপর নির্ভর করেই বিদেশী পোষাকের সমারহ ঘটিয়েছে দোকানগুলো । ক্রেতার উন্নত মানের পোষাকের প্রতি ঝুঁকে বলেই এ ধরনের আয়োজন করতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা আরো জানায় , এই বছর গত বছওে চেয়ে এই বছর মাকের্ট ক্রেতাদের অনেক ভিড়। কিন্তু গত বছর চেয়ে এবার প্রচন্ড গরম ও বৃষ্ঠি হওয়া ক্রেতার এখনো মার্কেট ভিড় পড়ছে।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানত পারি যে , এবার প্রচন্ড গরম থাকায় রোজা রেখে মাকের্ট আসতে কষ্ঠ হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

শেষ মূর্হতে জমে ওঠেছে মুরাদনগরের ঈদ বাজার

আপডেট সময় ১১:৩১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
মোঃ ইমন মিয়া , পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়ন (মুরাদনগর) প্রতিনিধিঃ

আধুনিকতা আর রুচি সমন্বয় ঘটিয়ে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় এবার ঈদ পোষাকের বিপুল সমাহার ঘটে। মুরাদনগর পোশাকের মার্কেটগুলোকে বিক্রেতারা সাজিয়েছে রঙ-বেরঙের সাজে । তবে এবার দেশিয় কাপড়ের চাইতে বিদেশী কাপড়ে সয়লাব হয়ে ওঠে গোটা ঈদ মার্কেট ।

বিশেষ করে নীরাদের ভারতীয় পোষাক সয়মাল প্রতিটি দোকান ।মেয়েদেও শাড়ি , থ্রি পিছ, ছেলেদেও পাঞ্জাবী,শার্ট, প্যান্টসহ সকল প্রকার পোষাকই বাংলাদেশের ,ভারত, পাকিস্তানি, আর বিভিন্ন দেশীয় ও কাপড় আনা হয়ে থাকে।

মুরাদনগর উপজেলার সকল মার্কেট এবং বিপনী বিতান গুলোয় দেশি পোষাকের সাথে সাথে একন বিদেশী কাপড়ে ছড়াছড়ি ।

ব্যবসায় জানান, শেষ মূর্হতে পড়ে ধুম বিক্রি শুরু হয়। তখন শেষ মুর্হর্তের বিক্রির জন্য ওই সময়ে দোকানের কিছু নতুন নতুন আইটেমের তোলা হয়েছে । সেই প্রস্তুতি সকল দোকানেই রয়েছে ।

উপজেলায় কোম্পানীগঞ্জ কলেজ সুপার মার্কেট, কোম্পানীগঞ্জ পুরাতন মার্কেট, মুরাদনগর উপজেলা মার্কেট, বাঙ্গরা বাজার মার্কেট, গাজী হাট বাজার মার্কেট, রামচন্দ্রপুর বাজার মার্কেট এবং বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমহল ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, দেশী- বিদেশী জমকালো পোষাকে সাজানো হয়েছে দোকানগুলোতে।

দেশে নামকরা ব্রানেডর পাশাপাশি বিদেশী পোাকেরই বহন দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। তার মধ্যে প্রচুর ভারতীয় শাড়ী, লেহেঙ্গা, ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, বাচ্ছাদের পোশাকের সাজানো হয়েছে শপিংমহল ও দোকানগুলো।

এ দিকে কোম্পানীগঞ্জ কলেজ মার্কেট পোশাকের দামের বিষয়ে, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে কয়েকটি দোকান দারে কথা বলে  জানতে পারি, শিশুদের সুতি কাপড়ের দাম ২০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, জর্জেট কাপড়ের ১ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। দেশি সুতি কাপড়ের শার্ট পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার চাহিদা কিশোর ও তরুণদের কাছে বেশি। এসব পোশাকের দাম সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাধ্যের মধ্যেই আছে। পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার দাম ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তরুণীদের পছন্দ সুতি ও জর্জেট কাপড়ের থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা। এসব পোশাকের দাম ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আগের তুলনায় শাড়ির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। তবে টাঙ্গাইলের শাড়ির কদর আছে। শার্ট আর পাঞ্জাবির সঙ্গে লুঙ্গির চাহিদাও অনেক। লুঙ্গি ৩০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, ক্রেতাদের চাহিদার উপর নির্ভর করেই বিদেশী পোষাকের সমারহ ঘটিয়েছে দোকানগুলো । ক্রেতার উন্নত মানের পোষাকের প্রতি ঝুঁকে বলেই এ ধরনের আয়োজন করতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা আরো জানায় , এই বছর গত বছওে চেয়ে এই বছর মাকের্ট ক্রেতাদের অনেক ভিড়। কিন্তু গত বছর চেয়ে এবার প্রচন্ড গরম ও বৃষ্ঠি হওয়া ক্রেতার এখনো মার্কেট ভিড় পড়ছে।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানত পারি যে , এবার প্রচন্ড গরম থাকায় রোজা রেখে মাকের্ট আসতে কষ্ঠ হয়।