ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে ডাক্তারও দেখায়নি: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লুটেরাদের সংগঠন বিএনপির ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। এই দলটি কেবল হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়েই ক্ষমতা দখল করেছিল এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে কোনো কিছুই করেনি। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা শুধু নিজেদের পকেট ভারি করেছিল। সন্ত্রাস ও ভয়-ভীতির রাজত্ব কায়েম করে কেবল নিজেদের ভাগ্য গড়ায় ব্যস্ত ছিলো। তাই বিগত দিনের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে, আওয়ামী লীগকে আবারো নির্বাচিত করবে।
রবিবার গণভবনে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ধানমন্ডির সুধা সদন থেকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস বিনাকারণে কারাভোগের পর জনগণের দাবি এবং দেশি-বিদেশি চাপের মুখে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এর পর থেকেই দিনটিকে ‘কারামুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করছে আওয়ামী লীগ। দিবসটি পালনে রবিবার সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা গণববনে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সেই দুঃসময়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে আমাকে রাখা হয়েছে ১১টি মাস। দোতলার নিচে পর্যন্ত নামতে দিতো না। এমনকি অসুস্থ হলে ডাক্তারও দেখায়নি। কিন্তু আমি কখনো মনের জোর হারাইনি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ছেলের বউয়ের অপারেশন, মেয়ে অন্তসত্ত্বা ছিলো সেজন্য আমি দেশের বাইরে যাই। অথচ এরপর আমাকে দেশে আসতে দেবে না। মামলা দিবে, ওয়ারেন্ট ইস্যু করবে। এই খেলাই তারা খেলতে চেয়েছে। তিনি বলেন, সবাই মামলার ভয়ে পালায়। আমি সেখানে যাচ্ছি মামলা মোকাবেলার করার জন্য। নির্দেশ ছিলো কেউ যেন বিমানবন্দরে না যায়। এবং তারা সংখ্যা বেধে দিয়েছিলো। ১০/২০ জন তার বেশি যেতে পারবে না। সকল বাধা উপেক্ষা করে কৌশলে বিমানবন্দরে হাজার হাজার দলীয় নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলো। তাদের যেটা উদ্দেশ্য ছিলো হাজার হাজার মানুষ থাকায় তারা সেটা করতে পারেনি।

ইত্তেফাক

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে ডাক্তারও দেখায়নি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লুটেরাদের সংগঠন বিএনপির ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। এই দলটি কেবল হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়েই ক্ষমতা দখল করেছিল এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে কোনো কিছুই করেনি। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা শুধু নিজেদের পকেট ভারি করেছিল। সন্ত্রাস ও ভয়-ভীতির রাজত্ব কায়েম করে কেবল নিজেদের ভাগ্য গড়ায় ব্যস্ত ছিলো। তাই বিগত দিনের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে, আওয়ামী লীগকে আবারো নির্বাচিত করবে।
রবিবার গণভবনে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ধানমন্ডির সুধা সদন থেকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস বিনাকারণে কারাভোগের পর জনগণের দাবি এবং দেশি-বিদেশি চাপের মুখে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এর পর থেকেই দিনটিকে ‘কারামুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করছে আওয়ামী লীগ। দিবসটি পালনে রবিবার সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা গণববনে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সেই দুঃসময়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে আমাকে রাখা হয়েছে ১১টি মাস। দোতলার নিচে পর্যন্ত নামতে দিতো না। এমনকি অসুস্থ হলে ডাক্তারও দেখায়নি। কিন্তু আমি কখনো মনের জোর হারাইনি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ছেলের বউয়ের অপারেশন, মেয়ে অন্তসত্ত্বা ছিলো সেজন্য আমি দেশের বাইরে যাই। অথচ এরপর আমাকে দেশে আসতে দেবে না। মামলা দিবে, ওয়ারেন্ট ইস্যু করবে। এই খেলাই তারা খেলতে চেয়েছে। তিনি বলেন, সবাই মামলার ভয়ে পালায়। আমি সেখানে যাচ্ছি মামলা মোকাবেলার করার জন্য। নির্দেশ ছিলো কেউ যেন বিমানবন্দরে না যায়। এবং তারা সংখ্যা বেধে দিয়েছিলো। ১০/২০ জন তার বেশি যেতে পারবে না। সকল বাধা উপেক্ষা করে কৌশলে বিমানবন্দরে হাজার হাজার দলীয় নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলো। তাদের যেটা উদ্দেশ্য ছিলো হাজার হাজার মানুষ থাকায় তারা সেটা করতে পারেনি।

ইত্তেফাক