আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় নিহত আরিফের কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল শনিবার সৌদি আরবের দাম্মামের জলদিয়া এলাকায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের সময় পাইপের ভেতরে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন আরিফ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সকাল এগারোটার দিকে বোরিংয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটা পাইপের ভেতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে তাদের মরদেহ দাম্মাম সেন্ট্রাল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে বলে জানা যায়।
নিহত আরিফ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের বাবা-মা ও স্বজনরা। এ খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আরিফ (২৭) ওই পরিবারের চতুর্থ সন্তান। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তিনি প্রায় ৮ বছর আগে সৌদি আরবে যান। তার উপার্জনের টাকায় বাবা-মা, স্ত্রী রেহানা আক্তার ও এক বছরের একমাত্র সন্তানসহ ৮ সদস্যের পরিবারটি চলতো। আরিফের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পরিবারটি নিরুপায় হয়ে পড়েছে।
এদিকে এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাইয়ূম ভূঁইয়া নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন।
তিনি জানান, আরিফের আয়ের উপর পরিবারটি চলতো। তার মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। তার লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।