ওকলাহোমার খনি ব্যবসায়ী হ্যারল্ড হ্যাম পঞ্চাশ বছরের জীবনে যা কিছু করেছেন তার সবটাই বৃহদাকারের।
কন্টিনেন্টাল রিসোর্সেস-এর প্রধান নির্বাহী হ্যারল্ড ওই কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক।
নর্থ ড্যাকোটায় বিশ্বের বৃহত্তম তেল খনির আবিস্কারক তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮০০ কোটি ডলার। ফোর্বসের হিসেবে তিনি আমেরিকার ২৪তম শীর্ষ ধনী।
এবার তার নামের সাথে যুক্ত হচ্ছে আরো একটি বিশেষণ। বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদের মালিক হচ্ছেন তিনি।
নয় সপ্তাহ গোপনে বিচার চলার পর ওকলাহোমা শহরের একজন বিচারক রায় দিয়েছেন যে সাবেক স্ত্রী সুই অ্যান হ্যামকে তালাক দেয়ার জন্য তাকে অবশ্যই ১০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা প্রদান করতে হবে।
এই অর্থ পেলে সুই অ্যান আমেরিকার সেরা ধনী নারীর খেতাব পেতে যাচ্ছেন।
রায়ে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষেই সাবেক স্ত্রীকে ৩২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে হ্যারল্ডকে। এরপর বাকি অর্থ প্রতি মাসে ৭০ লাখ ডলার করে শোধ করতে হবে।
এছাড়া কন্টিনেন্টাল রিসোর্সের ২০ লাখ শেয়ারও (যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার) সুই অ্যানকে দিতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
এর আগে রাশিয়ার ‘ফার্টিলাইজার কিং’ হিসেবে খ্যাত দিমিত্রি রিভলভলেভ তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পরিশোধ করেছিলেন ৪৮০ কোটি ডলার।
২০১২ সালে মামলা শুরুর পর ইতোমধ্যেই সুই অ্যানকে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছেন হ্যারল্ড।
১৯৮৮ সালে সুই অ্যান হ্যামকে যখন দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেছিলেন তখন হ্যারল্ড ছিলেন মধ্যবিত্ত।