ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ খালেদার গাড়িবহরে হাজারো নেতাকর্মী

জাতীয় ডেস্কঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় শুনতে আদালতের পথে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে তিনি রওনা দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি মগবাজার পৌঁছলে হঠাৎ করেই হাজারো নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসে। তারা নিরাপত্তা ভেদ করে গাড়িবহরের দখল নেয়।

এরপর সামনে-পেছনে অবস্থান নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।

রায় ঘিরে সকাল থেকে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতে প্রবেশের পথে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। তল্লাশির পর মামলা সংশ্লিষ্টদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়।
সকাল সোয়া আটার দিকে মামলার অন্য আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে আনা হয়।

এরপর সকাল ১০টা ১৮ মিনিটের দিকে বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান আদালতে প্রবেশ করেন।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন– মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে কারাগার থেকে সকাল সোয়া আটটার দিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আর তারেক রহমান (লন্ডনে), সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এরপর ২৩৬ কার্যদিবসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। মামরায় ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২৮ দিন ধরে আসামি খালেদা জিয়া ৩৪২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আর ১৬ দিন তার পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।

খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ মামলা জড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন কি না- তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেন, ‘নথি জালিয়তি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসিকিউশন মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ মামলায় খালেদা জিয়ার খালাস পাবেন।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ‘আমরা অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করেছি। আদালতের
কাছে ছয় আসামিরই সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

হঠাৎ খালেদার গাড়িবহরে হাজারো নেতাকর্মী

আপডেট সময় ০৮:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় শুনতে আদালতের পথে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে তিনি রওনা দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি মগবাজার পৌঁছলে হঠাৎ করেই হাজারো নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসে। তারা নিরাপত্তা ভেদ করে গাড়িবহরের দখল নেয়।

এরপর সামনে-পেছনে অবস্থান নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।

রায় ঘিরে সকাল থেকে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতে প্রবেশের পথে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। তল্লাশির পর মামলা সংশ্লিষ্টদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়।
সকাল সোয়া আটার দিকে মামলার অন্য আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে আনা হয়।

এরপর সকাল ১০টা ১৮ মিনিটের দিকে বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান আদালতে প্রবেশ করেন।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন– মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে কারাগার থেকে সকাল সোয়া আটটার দিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আর তারেক রহমান (লন্ডনে), সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এরপর ২৩৬ কার্যদিবসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। মামরায় ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২৮ দিন ধরে আসামি খালেদা জিয়া ৩৪২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আর ১৬ দিন তার পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।

খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ মামলা জড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন কি না- তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেন, ‘নথি জালিয়তি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসিকিউশন মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ মামলায় খালেদা জিয়ার খালাস পাবেন।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ‘আমরা অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করেছি। আদালতের
কাছে ছয় আসামিরই সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।’