ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘হামলাকারীরা সরকারি দলের চিহ্নিত ক্যাডার’

জাতীয় ডেস্কঃ
চট্টগ্রামে আসার পথে ফেনী ও চৌদ্দগ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে চিহ্নিত হামলাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মিডিয়ার গাড়িতে হামলা করেছে সরকারি ক্যাডাররা। তারা মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করতে চায়। গাড়িবহরে যারা হামলা করেছে তারা চিহ্নিত। প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা গণমাধ্যমে চলে এসেছে যে, কারা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের ফুটেজ আছে। তারা কোন ইউনিয়নের ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি সেগুলোও চলে এসেছে, ছবি এসেছে।’
ফখরুল রবিবার সকাল সোয়া ১০ টায় চট্টগ্রামের একটি মোটেলে ও পরে পৌনে ১২ টায় সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ হামলাকারীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে। কারা হামলা করেছে এটা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে স্পষ্ট। সত্য অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ফেনীতে হামলার ঘটনার পর আমরা থানায় যোগাযোগ করেছি। তারা বার বার বলছে যে আমরা বিষয়টি দেখতেছি।’
হামলা ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আশা করি, বাকি সফর শান্তিপূর্ণ হবে। প্রথমদিনে বলেছি এখনও বলছি- তিনি (খালেদা জিয়া) তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা, তার নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। একজন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেয়াও তাদের দায়িত্ব। আমরা আশা করি যে ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটুক। সরকারি দলের কাছে আমরা এ আশা করি।’
ট্রাফিক পুলিশের কর্মকাণ্ডে ‘মোটামুটি সন্তুষ্ট’ হলেও নিরাপত্তা জন্য দায়িত্বরত পুলিশের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘পুলিশের ট্রাফিক মোটামুটি ভালো কাজ করেছে। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, বিশেষ করে সাংবাদিকদের ওপর যখন হামলা হলো, তখন তো তারা দাঁড়িয়ে থাকলো। কয়েকটা জায়গায় তাদের উপস্থিতিও দেখা যায়নি। ফেনীতে সেখানকার এসপি-ওসিকে বলেছি আপনারা এগুলো দেখেন। তারা বলেছে, আমরা দেখছি। এমনকি আমরা ঢাকায় আইজিপি সাহেবের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা দেবে। বহর শান্তিপূর্ণভাবে হবে, আপনারা নিরাপদে যাবেন। কিন্তু হলো না।
বিএনপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখানে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসিনি। আমরা ত্রাণ দিতে এবং পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছি। মানুষের যে ঢল দেখছেন এটা অর্গানাইজ নয়, কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়। মানুষ এমনিতেই উঠে এসেছে। জড়ো হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় এসেছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে কোনো অর্গানাইজ করা হয়নি। খালেদা জিয়ার প্রতি মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত একটা আবেগ আছে। গণতন্ত্র রক্ষার যে আন্দোলন তিনি করে চলেছেন মানুষ তার মধ্যে আন্তরিক প্রচেষ্টা দেখতে পেয়েছেন। সেজন্যই মানুষ তাকে দেখতে চায়। তিনি ক্যারিশমেটিক লিডার।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

‘হামলাকারীরা সরকারি দলের চিহ্নিত ক্যাডার’

আপডেট সময় ০১:০৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
চট্টগ্রামে আসার পথে ফেনী ও চৌদ্দগ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে চিহ্নিত হামলাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মিডিয়ার গাড়িতে হামলা করেছে সরকারি ক্যাডাররা। তারা মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করতে চায়। গাড়িবহরে যারা হামলা করেছে তারা চিহ্নিত। প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা গণমাধ্যমে চলে এসেছে যে, কারা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের ফুটেজ আছে। তারা কোন ইউনিয়নের ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি সেগুলোও চলে এসেছে, ছবি এসেছে।’
ফখরুল রবিবার সকাল সোয়া ১০ টায় চট্টগ্রামের একটি মোটেলে ও পরে পৌনে ১২ টায় সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ হামলাকারীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে। কারা হামলা করেছে এটা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে স্পষ্ট। সত্য অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ফেনীতে হামলার ঘটনার পর আমরা থানায় যোগাযোগ করেছি। তারা বার বার বলছে যে আমরা বিষয়টি দেখতেছি।’
হামলা ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আশা করি, বাকি সফর শান্তিপূর্ণ হবে। প্রথমদিনে বলেছি এখনও বলছি- তিনি (খালেদা জিয়া) তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা, তার নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। একজন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেয়াও তাদের দায়িত্ব। আমরা আশা করি যে ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটুক। সরকারি দলের কাছে আমরা এ আশা করি।’
ট্রাফিক পুলিশের কর্মকাণ্ডে ‘মোটামুটি সন্তুষ্ট’ হলেও নিরাপত্তা জন্য দায়িত্বরত পুলিশের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘পুলিশের ট্রাফিক মোটামুটি ভালো কাজ করেছে। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, বিশেষ করে সাংবাদিকদের ওপর যখন হামলা হলো, তখন তো তারা দাঁড়িয়ে থাকলো। কয়েকটা জায়গায় তাদের উপস্থিতিও দেখা যায়নি। ফেনীতে সেখানকার এসপি-ওসিকে বলেছি আপনারা এগুলো দেখেন। তারা বলেছে, আমরা দেখছি। এমনকি আমরা ঢাকায় আইজিপি সাহেবের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা দেবে। বহর শান্তিপূর্ণভাবে হবে, আপনারা নিরাপদে যাবেন। কিন্তু হলো না।
বিএনপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখানে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসিনি। আমরা ত্রাণ দিতে এবং পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছি। মানুষের যে ঢল দেখছেন এটা অর্গানাইজ নয়, কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়। মানুষ এমনিতেই উঠে এসেছে। জড়ো হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় এসেছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে কোনো অর্গানাইজ করা হয়নি। খালেদা জিয়ার প্রতি মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত একটা আবেগ আছে। গণতন্ত্র রক্ষার যে আন্দোলন তিনি করে চলেছেন মানুষ তার মধ্যে আন্তরিক প্রচেষ্টা দেখতে পেয়েছেন। সেজন্যই মানুষ তাকে দেখতে চায়। তিনি ক্যারিশমেটিক লিডার।