তপন সরকার, হোমনাপ্রতিনিধিঃ
গত ১৪ আগস্ট রাষ্টপতি আব্দুল হামিদ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেন্সেলর হিসেবে দ্বায়িত্ব ভার বুঝিয়ে দেন কুমিল্লার হোমনার কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদকে।
ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী সবাই ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয়ন তাকে।
১৯৫৭ সনের ১ এপ্রিল কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলা বিজয় নগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ।
শিক্ষা জীবনের প্রতিটি স্তরে ড. কামাল উদ্দিন অনন্য মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ১৯৭২ সনে এসএসসি ও ১৯৭৪ সনে এইচএসসি পাশ করেন। বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট বর্তমান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনি ১৯৭৯ সালে বি.এসসি.এজি ও ১৯৮২ সালে এম.এসসি, যুক্তরাজ্য থেকে ১৯৮৭ সালে এম.ফিল এবং ২০০৭ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ১৯৮১ সনে তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট বর্তমান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচারাল বোটানী বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, যশোর বোর্ডসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষক, ভিজিটিং শিক্ষক, শিক্ষক ও বিজ্ঞানী নিয়োগ বোর্ড বিশেষজ্ঞসহ নানাবিধ একাডেমিক ও গবেষণামুলক কার্যক্রমে জড়িত রয়েছেন।
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ভুট্টা, গম ও ধান ফসলের উপর বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ইউরোপিয়ান কমিশন, ইউএস এইড, বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ০৭টি বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।
আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর ৩৪ টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সাময়ীকিতে অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন।
তাঁর অপ্রকাশিত বহু গবেষণা কর্ম রয়েছে। অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ শিক্ষা, গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি কর্তৃক অমর একুশে ২০১২ পদক প্রাপ্ত হয়েছেন।