ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় আটক করা ডাকতকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা

মোর্শেদুল ইসলাম শাজু,  বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার হোমনা পুলিশের আটক করা দুই ডাকাত সদস্যকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর ডাকাত দলের হামলা। এ সময় পুলিশ-ডাকাতদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়।

আটককৃত ডাকাত সদস্যরা হলেন, উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মো. রবিউল (২৮) এবং একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৮)।

আহত পুলিশ সদস্য হলেন, হোমনা থানার কনেষ্টেবল মো. জামাল মোল্লা (৩৩)।

শনিবার বিকেলে উপজেলার শ্রীমদ্দি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে হোমনা থানার শ্রীমদ্দি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ওসি রসুল আহমেদ নিজামী, ওসি (তদন্ত) আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে এস আই কাজী নাজমুল হাসান, এস আই নূরুদ্দিন জাহাঙ্গিও, এস আই সাজ্জাদ, এস আই মুরাদ, এ এস আই কামরুল ইসলামসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-সস্ত্রসহ দুই নৌ-ডাকাতকে গ্রেফতার করে। থানায় ফেরার পথে পুলিশের ইঞ্জিন চালিত ট্রলারকে পেছন থেকে তাদের সহযোগিরা ধাওয়া করে। আটককৃতদের নিয়ে উপজেলার চরেরগাঁও এলাকার তিতাস ও মেঘনা নদীর মোহনায় পৌঁছলে তাদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, ইট-পাটকেল ও বোমা নিক্ষেপ করে ডাকাত দলেরা। এ সময় পুলিশের এক সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ ডাকাতদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। আহত পুলিশ সদস্যকে হোমনা হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় আটকৃতদের কাছ থেকে তিনটি এল জি, একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ চাইনিজ পিস্তল, তিন রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, ১৪ টি কার্তুজ, সাতটি বোমা, তিনটি রাম দা’, একটি বড় ছোড়া, তিনটি স্পিড বোট, ৪ হেলমেট এবং ২০ টি লাইফ জ্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী জানান, অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নৌ-ডাকাতের একটি দল মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছল। খবর পেয়ে হোমনা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, কার্তুজ, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র, তিনটি স্পিড বোটসহ দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা ১৯ রাউন্ড গুলি চালায়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

হোমনায় আটক করা ডাকতকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা

আপডেট সময় ০১:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬
মোর্শেদুল ইসলাম শাজু,  বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার হোমনা পুলিশের আটক করা দুই ডাকাত সদস্যকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর ডাকাত দলের হামলা। এ সময় পুলিশ-ডাকাতদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়।

আটককৃত ডাকাত সদস্যরা হলেন, উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মো. রবিউল (২৮) এবং একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৮)।

আহত পুলিশ সদস্য হলেন, হোমনা থানার কনেষ্টেবল মো. জামাল মোল্লা (৩৩)।

শনিবার বিকেলে উপজেলার শ্রীমদ্দি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে হোমনা থানার শ্রীমদ্দি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ওসি রসুল আহমেদ নিজামী, ওসি (তদন্ত) আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে এস আই কাজী নাজমুল হাসান, এস আই নূরুদ্দিন জাহাঙ্গিও, এস আই সাজ্জাদ, এস আই মুরাদ, এ এস আই কামরুল ইসলামসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-সস্ত্রসহ দুই নৌ-ডাকাতকে গ্রেফতার করে। থানায় ফেরার পথে পুলিশের ইঞ্জিন চালিত ট্রলারকে পেছন থেকে তাদের সহযোগিরা ধাওয়া করে। আটককৃতদের নিয়ে উপজেলার চরেরগাঁও এলাকার তিতাস ও মেঘনা নদীর মোহনায় পৌঁছলে তাদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, ইট-পাটকেল ও বোমা নিক্ষেপ করে ডাকাত দলেরা। এ সময় পুলিশের এক সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ ডাকাতদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। আহত পুলিশ সদস্যকে হোমনা হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় আটকৃতদের কাছ থেকে তিনটি এল জি, একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ চাইনিজ পিস্তল, তিন রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, ১৪ টি কার্তুজ, সাতটি বোমা, তিনটি রাম দা’, একটি বড় ছোড়া, তিনটি স্পিড বোট, ৪ হেলমেট এবং ২০ টি লাইফ জ্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী জানান, অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নৌ-ডাকাতের একটি দল মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছল। খবর পেয়ে হোমনা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, কার্তুজ, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র, তিনটি স্পিড বোটসহ দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা ১৯ রাউন্ড গুলি চালায়।