হোমনা(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ৭ কাটুন সরকারী ঔষধ উদ্ধারসহ ১জনকে আটক করেছে হোমনা থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে উপজেল্রা চান্দেরচর ইউনিয়নের বাকসিতারামপুর গ্রামের মৃত মধু মোল্লার বাড়ি থেকে ওই ঔষধগুলো উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মোঃ মাহবুবুর রহমান নামের ১জনকে আটক করে। আটক মাহবুবুর রহমান ওই গ্রামের মোল্ল বাড়ির মধু মিয়া মোল্লার ছেলে।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় এল্কাায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
থানা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের নাগেরচর কমিউনিটি কিনিকের জন্য গত ২ অক্টোবর ৭কাটুন সরকারী ঔষধ সরবরাহ করেন সংশ্লীষ্ট দপ্তর। ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডা (সিএইচসিপি) মাসুদুর রহমান ঔষধগুলো বুঝে রাখেন। তবে ঔষধগুলি রোগীদেরকে না দিয়ে অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করেন পাশের গ্রাম বাকসিতারামপুরের মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে। বিষয়টি এলাকায় সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে বাগসিতারামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৭কাটুন ঔষধ জব্দ করে এবং জড়িত থাকার অভিযোগে বাড়ির মালিক মাহবুবুর রহমানকে আটক করে।
এ ব্যাপারে (সিএইচসিপি) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কিনিকের অবস্থা ভাল না দেখে অন্যত্র ঔষধের কাটুনগুলি রেখেছি। রোগিদের ঔষদ সরবরাহের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
কিনিকের সভাপতি ইউপি মেম্বার নাঈম মোল্লা বলেন, আমি সভাপতি ঠিকই কিন্ত সরকারী ভাবে কি ঔষধ আসে তা আমি বলতে পারবো না। এর আগেও ঔষধ চুরি হয়েছে শুনেছি কিন্তু কোন জিডি করা হয়নি। কিনিকের ভিতর বৃষ্টির পানি পড়বে বলে নাকি বাগসিতারামপুর গ্রামে ঔষধ রাখছে সে বিষয়েও আমাকে জানানো হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার হাসান আলী জানান, উপজেলায় ২০টি কমিউনিটি কিনিকের প্রতিটিতে গত ২অক্টোবর ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কোন কিনিকের ঔষধ চুরি বা পাচার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রসূল আহমদ নিজামী বলেন, সরকারী ঔষধ কিনিকে না রেখে ব্যক্তির বাড়িতে রাখার ঘটনায় সংবাদ পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। এবং একটি ঘর থেকে ঔষধ জব্দ করি ও বাড়ির মালিককে আটক করে নিয়ে আসি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সকালে ইউএনও মহোদয় ও টিএইচএসহ কিনিকের কমিটি নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।