ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় দুটি সন্তান জন্মদানের ১৫ ঘন্টা না যেতেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ

মো. আবু রায়হান চৌধুরী:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ কেন্দ্রের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীর এক সাথে দুটি সন্তান জন্মদানের পরও সুস্থ ও স্বাবাভিক একজন মানুষের মতই পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে দুঃসাহসিকতার সাথে পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক,কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের কাছ থেকে জানা গেছে যে, ওই ছাত্রীর নাম শারমিন আক্তার (রোল নং-৫৬০৯৭০) তার বাড়ি হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বাহার কালমিনা গ্রামে। তার বাবার নাম মো. ইব্রাহিম মিয়া, মা সেলিনা বেগম।

সে এবছর হোমনা সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ.এসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

গত ৫ই এপ্রিল বুধবার বিকাল ৩টায় ঢাকা গুলশানের একটি হাসপাতালে তার দুটি জমজ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সে তার পর ও পরীক্ষা থেকে বিরত হয়নি। তার এত বড় অপারেশনের ১৫ ঘন্টা যেতে না যেতেই সর্ম্পূণ সুস্থ না হওয়ার আগেই সাহসিকতার সাথে গুলশানের সেই হসপিটাল থেকে তার কষ্টের ফসল সন্তানদের রেখে ছুটে আসে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। সকল পরীক্ষার্থীদের সাথে তার পরীক্ষার হলে বসে স্বাবাভিক ভাবেই অন্য আট দশ জন পরীক্ষার্থীর মত পরীক্ষা দিচ্ছে সে।

এব্যাপারে এই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোমনা উপজেলা মৎস অফিসার বদিউল আলম সুফল বলেন, যে মেয়েটি তার সন্তান জন্মদানের ১৫ ঘন্টা না যেতেই পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে তা নিঃসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে সে। তার এই সাহসিতা সত্যিই প্রশংসনীয় ব্যাপার বলা যায়। কারন যেখানে অনেকেই সামান্য একটু শারিরীক অসুস্থতা দেখা দিলে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে চায়। অথচ সে কিনা তার উপর এত বড় শারিরীক অপারেশন হওয়ার পরও সে সুস্থ ও স্বাবাভিক একজন মানুষের মত পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দেওয়ার মত এত বড় দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তা তুলনা করার মত নয়। সে যেন বাকি পরীক্ষা গুলো সুস্থ ও স্বাবাভিক ভাবে দিতে পারে তার জন্য মহান আল্লাহ পাকের কাছে আমরা সকলে দোয়া করি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

হোমনায় দুটি সন্তান জন্মদানের ১৫ ঘন্টা না যেতেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ

আপডেট সময় ০২:১২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০১৭
মো. আবু রায়হান চৌধুরী:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ কেন্দ্রের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীর এক সাথে দুটি সন্তান জন্মদানের পরও সুস্থ ও স্বাবাভিক একজন মানুষের মতই পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে দুঃসাহসিকতার সাথে পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক,কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের কাছ থেকে জানা গেছে যে, ওই ছাত্রীর নাম শারমিন আক্তার (রোল নং-৫৬০৯৭০) তার বাড়ি হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বাহার কালমিনা গ্রামে। তার বাবার নাম মো. ইব্রাহিম মিয়া, মা সেলিনা বেগম।

সে এবছর হোমনা সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ.এসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

গত ৫ই এপ্রিল বুধবার বিকাল ৩টায় ঢাকা গুলশানের একটি হাসপাতালে তার দুটি জমজ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সে তার পর ও পরীক্ষা থেকে বিরত হয়নি। তার এত বড় অপারেশনের ১৫ ঘন্টা যেতে না যেতেই সর্ম্পূণ সুস্থ না হওয়ার আগেই সাহসিকতার সাথে গুলশানের সেই হসপিটাল থেকে তার কষ্টের ফসল সন্তানদের রেখে ছুটে আসে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। সকল পরীক্ষার্থীদের সাথে তার পরীক্ষার হলে বসে স্বাবাভিক ভাবেই অন্য আট দশ জন পরীক্ষার্থীর মত পরীক্ষা দিচ্ছে সে।

এব্যাপারে এই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোমনা উপজেলা মৎস অফিসার বদিউল আলম সুফল বলেন, যে মেয়েটি তার সন্তান জন্মদানের ১৫ ঘন্টা না যেতেই পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে তা নিঃসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে সে। তার এই সাহসিতা সত্যিই প্রশংসনীয় ব্যাপার বলা যায়। কারন যেখানে অনেকেই সামান্য একটু শারিরীক অসুস্থতা দেখা দিলে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে চায়। অথচ সে কিনা তার উপর এত বড় শারিরীক অপারেশন হওয়ার পরও সে সুস্থ ও স্বাবাভিক একজন মানুষের মত পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দেওয়ার মত এত বড় দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তা তুলনা করার মত নয়। সে যেন বাকি পরীক্ষা গুলো সুস্থ ও স্বাবাভিক ভাবে দিতে পারে তার জন্য মহান আল্লাহ পাকের কাছে আমরা সকলে দোয়া করি।