ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় ৬ চিকিৎসকের করোনা নেগেটিভ : প্রাণ ফিরে পেয়েছে চিকিৎসাসেবা

হোমনা (কুমিল্লা):

কুমিল্লার হোমনায় নমুনা সংগ্রহ এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত পাঁচ জন এবং একজন প্রাইভেট চিকিৎসকসহ ছয় চিকিৎসকের পাঠানো করোনার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। এতে প্রাণ ফিরে এসেছে চিকিৎসাসেবায়।

সহকারী সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মঙ্গলকান্দি গ্রামে এক নারীর মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় দুই চিকিৎসক ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। এরই মধ্যে ওই দুই চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সংস্পর্শে আসেন। এর আগে ওই নারী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক চিকিৎসক দম্পতিকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেন। পরে পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা পজেটিভ আসে। চিকিৎসকদের মধ্যে সংক্রমণের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ছয় চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।

রবিবার বিকেলে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।

এ পর্যন্ত হোমনা উপজেলা থেকে বাইশ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে একমাত্র নারীর পজেটিভ এবং ১৮ জনের করোনা নেগেটিভ এসেছে। আরও তিন জনের রিপোর্ট এখনো বাকী রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একমাত্র করোনা সনাক্ত ওই রোগীনী বর্তমানে ভালো রয়েছেন। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে পরীক্ষা করানো হবে। ইতোমধ্যে তার মা, সন্তান এবং এক প্রতিবেশীর নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা নেগেটিভ এসেছে।

চিকিৎসকদের করোনা নেগেটিভ আসায় তারা যেমন ফিরে পেয়েছেন তাদের উদ্যম; তেমনি করোনাযোদ্ধাখ্যাত এই চিকিৎসকদের জন্য সাধারণ রোগীদের মনেও ফিরে এসেছে স্বস্তি। এই চিকিৎসকরা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার, ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, ডা. লুৎফুন নাহার নিবিড়, ডা. মো. ইব্রাহিম খলিল রনি, ডাক্তার দম্পতি ডা. ফদলুল আজিম আবরার ও ডা. নাবিলা নাজরিন।

চব্বিশ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা দেওয়া এই চিকিৎসকদের করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর থেকে উপজেলার সর্বত্র কিছুটা ভীতি সঞ্চার হয়েছিল। পাশাপাশি গত দুই তিন দিন চিকিৎসক সঙ্কটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবাও হয়ে পরেছিল মন্থর।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, ডা. মাহবুব এবং ডা. নিবিড় এক নারী রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে তার সংস্পর্শে যেতে হয়েছে। ওই রোগী তথ্য গোপন করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ডাক্তার দম্পতি ডা. আবরার ও ডা. নাবিলার সংস্পর্শেও যায়। পরে ওই নারীর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে ওই চিকিৎসকরা আমারও কাছাকাছি আসে। এতে আমরা ছয় কিকিৎসক আমাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইিিডসিআরে পাঠাই। আল্লাহ্র রহমতে রবিবার আমাদের সকালেরই করোনা নেগেটিভ আসে। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা ২২ জনের মধ্যে একমাত্র নারীর করোনা পজেটিভ এবং ১৮ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছে আইইডিসিআর। তিন জনের রিপোর্ট বাকী রয়েছে। রবিার আরও ৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

হোমনায় ৬ চিকিৎসকের করোনা নেগেটিভ : প্রাণ ফিরে পেয়েছে চিকিৎসাসেবা

আপডেট সময় ০৩:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

হোমনা (কুমিল্লা):

কুমিল্লার হোমনায় নমুনা সংগ্রহ এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত পাঁচ জন এবং একজন প্রাইভেট চিকিৎসকসহ ছয় চিকিৎসকের পাঠানো করোনার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। এতে প্রাণ ফিরে এসেছে চিকিৎসাসেবায়।

সহকারী সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মঙ্গলকান্দি গ্রামে এক নারীর মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় দুই চিকিৎসক ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। এরই মধ্যে ওই দুই চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সংস্পর্শে আসেন। এর আগে ওই নারী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক চিকিৎসক দম্পতিকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেন। পরে পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা পজেটিভ আসে। চিকিৎসকদের মধ্যে সংক্রমণের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ছয় চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।

রবিবার বিকেলে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।

এ পর্যন্ত হোমনা উপজেলা থেকে বাইশ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে একমাত্র নারীর পজেটিভ এবং ১৮ জনের করোনা নেগেটিভ এসেছে। আরও তিন জনের রিপোর্ট এখনো বাকী রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একমাত্র করোনা সনাক্ত ওই রোগীনী বর্তমানে ভালো রয়েছেন। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে পরীক্ষা করানো হবে। ইতোমধ্যে তার মা, সন্তান এবং এক প্রতিবেশীর নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা নেগেটিভ এসেছে।

চিকিৎসকদের করোনা নেগেটিভ আসায় তারা যেমন ফিরে পেয়েছেন তাদের উদ্যম; তেমনি করোনাযোদ্ধাখ্যাত এই চিকিৎসকদের জন্য সাধারণ রোগীদের মনেও ফিরে এসেছে স্বস্তি। এই চিকিৎসকরা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার, ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, ডা. লুৎফুন নাহার নিবিড়, ডা. মো. ইব্রাহিম খলিল রনি, ডাক্তার দম্পতি ডা. ফদলুল আজিম আবরার ও ডা. নাবিলা নাজরিন।

চব্বিশ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা দেওয়া এই চিকিৎসকদের করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর থেকে উপজেলার সর্বত্র কিছুটা ভীতি সঞ্চার হয়েছিল। পাশাপাশি গত দুই তিন দিন চিকিৎসক সঙ্কটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবাও হয়ে পরেছিল মন্থর।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, ডা. মাহবুব এবং ডা. নিবিড় এক নারী রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে তার সংস্পর্শে যেতে হয়েছে। ওই রোগী তথ্য গোপন করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ডাক্তার দম্পতি ডা. আবরার ও ডা. নাবিলার সংস্পর্শেও যায়। পরে ওই নারীর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে ওই চিকিৎসকরা আমারও কাছাকাছি আসে। এতে আমরা ছয় কিকিৎসক আমাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইিিডসিআরে পাঠাই। আল্লাহ্র রহমতে রবিবার আমাদের সকালেরই করোনা নেগেটিভ আসে। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা ২২ জনের মধ্যে একমাত্র নারীর করোনা পজেটিভ এবং ১৮ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছে আইইডিসিআর। তিন জনের রিপোর্ট বাকী রয়েছে। রবিার আরও ৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।