কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফ্রি ও হাফ ফ্রি দিতে হলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যানজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফর্মপূরনের সুযোগ থাকে । কিন্ত যারা মাত্র বোর্ড ফি নিয়ে ফর্ম পূরনের সুযোগ পেয়েছে তাদের অনেকে গরীব ও মেধাবী কোটায় পড়ে না বা ফ্রি বা হাফ ফ্রি পাওয়ার জন্য কোন আবেদন পর্যন্ত করেনি ।
এদিকে কলেজের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অধ্যক্ষের প্রিয়ভাজন দু জন শিক্ষকের বির্তকিত কর্মকান্ড নিয়ে বিভিন্ন গন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । জানাগেছে ,অধ্যক্ষের প্রিয়ভাজন মোঃ হারুন অর রশিদ কলেজের মার্কেটিং বিভাগের এক প্রার্থী মোঃ সফিকুল ইসলাম কে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে ।এবং আরেক প্রিয় ভাজন শিক্ষক ফকির মোঃ ছাদেক বীনা রসিদে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা আদায় করছে । এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্ঠি হয়েছে । এতে শিক্ষক নিয়োাগ প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ম্যনেজিং কমিটির সুপারিশে “ গরীব ছাত্র/ছাত্রীরকে শুধুমাত্র বোর্ডফি দিয়ে ফর্ম পূরনের সুযোগ দেয়া হয়েছে । এবং শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তিনি বলেন প্রার্থীর নিকট থেকে ঘুষদাবী করার বিষয়টি শুনেছি । কিন্ত প্রমানিত হয়নি ।এটি একটি গুজব । এতে আমি জড়িত নই ।
কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রার্থী মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, হারুন আর রশিদ স্যার আমার মোবাইলে ফোন করে আমার নিকট আড়াই লাখ টাকা দাবী করে বলেন, কলেজে চাকুরী পেতে হলে টাকা নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের সাথে সাক্ষাত করেন ।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “ শফিকুল ইসলাম আমার ছাত্র ।অধ্যক্ষের পরামর্শে নিবন্ধন সংক্রান্ত ইনফরমেশন জানতে গিয়ে খামখেয়ালী করে বলেছি আড়াই লাখ টাকা ম্য্যনেজ করে প্রিন্সিপালের সাথে যোগাযোগ করতে।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ আমির হোসেন ভূইয়া এমপি বলেন,. শুধুশিক্ষক নিয়োগ কেন কলেজের কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না ।অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
কলেজের দাতা সদস্য বাবু চন্দন লাল রায় বলেন, কলেজের অনেক অনিয়মের খবর শুনেছি । অতি দ্রত কলেজের অডিট করে স্বচ্চতা নিশ্চিত করা উচিত ।