ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছর ধরে শুনছি তিস্তার সমাধান হয়ে যাবে কিন্তু হয়নি: ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দেশের সমস্যর কথা না বলে শুধুমাত্র সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করবেন, এটা তো দেশের জনগণ মেনে নিতে পারবে না। দেশের মানুষ আশা করে, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলবেন। গত ১০ বছর ধরে শুনে আসছি- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তিস্তা চুক্তি হয়ে যাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই চুক্তি হয়নি।
শনিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। তবে সম্পর্ক হতে হবে সম্পূর্ণ পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে। আমার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের স্বার্থ পূরণ করা আমার কাজ নয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দাবি করেন, তিনি এ  দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তা তারা বিভিন্ন জায়গায় বলেও বেড়াচ্ছেন। তাহলে আমার দেশের সমস্যার কথা কেন তিনি বলছেন না? তিনি বলেন, মুখে মুখে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দিয়ে জনগণের লাভ নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে আমার দেশের মানুষ হত্যা করা হয়। এখন পর্যন্ত তার সমাধান করা হয়নি। এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলুন। সমস্যা নিয়ে কথা বলা উচিত, সেটাই দেশের জনগণ চায়।
ফখরুল বলেন, প্রথমেই আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে চীন ও ভারতে যাওয়া উচিত ছিল। কারণ রোহিঙ্গা নিয়ে তারাই প্রথমে মিয়ানমারকে সমর্থন করেছে। এ বছরকে নির্বাচনি বছর উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষ খুলনার নির্বাচন দেখেছে। গাজীপুর নির্বাচনের আগে যে মহড়া দেয়া হচ্ছে, তাতে সেখানে কী ধরনের নির্বাচন হবে তা বোঝা যাচ্ছে। গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

১০ বছর ধরে শুনছি তিস্তার সমাধান হয়ে যাবে কিন্তু হয়নি: ফখরুল

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মে ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দেশের সমস্যর কথা না বলে শুধুমাত্র সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করবেন, এটা তো দেশের জনগণ মেনে নিতে পারবে না। দেশের মানুষ আশা করে, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলবেন। গত ১০ বছর ধরে শুনে আসছি- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তিস্তা চুক্তি হয়ে যাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই চুক্তি হয়নি।
শনিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। তবে সম্পর্ক হতে হবে সম্পূর্ণ পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে। আমার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের স্বার্থ পূরণ করা আমার কাজ নয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দাবি করেন, তিনি এ  দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তা তারা বিভিন্ন জায়গায় বলেও বেড়াচ্ছেন। তাহলে আমার দেশের সমস্যার কথা কেন তিনি বলছেন না? তিনি বলেন, মুখে মুখে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দিয়ে জনগণের লাভ নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে আমার দেশের মানুষ হত্যা করা হয়। এখন পর্যন্ত তার সমাধান করা হয়নি। এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলুন। সমস্যা নিয়ে কথা বলা উচিত, সেটাই দেশের জনগণ চায়।
ফখরুল বলেন, প্রথমেই আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে চীন ও ভারতে যাওয়া উচিত ছিল। কারণ রোহিঙ্গা নিয়ে তারাই প্রথমে মিয়ানমারকে সমর্থন করেছে। এ বছরকে নির্বাচনি বছর উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষ খুলনার নির্বাচন দেখেছে। গাজীপুর নির্বাচনের আগে যে মহড়া দেয়া হচ্ছে, তাতে সেখানে কী ধরনের নির্বাচন হবে তা বোঝা যাচ্ছে। গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।