ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ হাজার নেতা-কর্মীর ঈদে বাড়ি যেতে ভয়!

জাতীয় ডস্কঃ
আওয়ামী লীগের ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী ভয়ে আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন করতে নিজের এলাকায় যেতে পারছেন না। আগামী নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করার পর থেকে ১৩০ আসনে বর্তমান এমপিদের রোষানলে পড়েছেন তারা। এদের মধ্যে আছেন ১৩শ মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের বিপুল সংখ্যক সমর্থক নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে অনেক স্থানে অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবা, চাঁদাবাজি কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা, পাল্টা মামলা-হামলা শুরু হয়েছে। ক্রসফায়ারের হুমকিও পেয়েছেন অনেকে।
সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৩০ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল। হঠাৎ গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে এমপিরা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৩০ আসনের প্রতিটিতে গড়ে ১০০ জন নেতাকর্মী এখন এলাকা ছাড়া। আবার কিছু আসনে এমপিকে ঘায়েল করতে নানা ফন্দিফিকিরও শুরু করেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এক পক্ষের আরেক পক্ষকে বিতর্কিত করার লড়াই বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। দলের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে ঢাকায় কিংবা দূর সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটছে। কেন্দ্র থেকে দেয়া নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, ৩০০ আসনে সাড়ে তিন হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশীর একটি তালিকা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে জমা আছে। এর মধ্যে ৯০০ উইনেবল (যাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি) প্রার্থীর তালিকা করা হয়েছে। সরকারের তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা, বাছাই করা দলীয় কর্মীদের একটি জরিপ দল, সাত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের রিপোর্ট, পেশাদার দুটি জরিপ সংস্থা ও আমলাদের একটি প্রতিনিধি দলের জরিপ প্রতিবেদনে উঠে আসা চিত্র পর্যালোচনা করে এ তালিকা করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। বোর্ডের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীক পেতে মুখোমুখি লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের ২৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা। দলের প্রেসিডিয়াম থেকে শুরু করে সম্পাদকমণ্ডলী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদের এই নেতারা একই আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতোমধ্যে তারা সমানতালে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। নির্বাচনের দেড় বছর বাকি থাকলেও শেষ পর্যন্ত কে নৌকা প্রতীক পাবেন, তা নিয়ে স্নায়ুচাপ বাড়ছে নেতাদের মধ্যে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা (আপন ভাইবোন) এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা। চাঁদপুর-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জানা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এলাকায় তিনি গত তিন বছর ধরে গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে দীপু মনিও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। মাদারীপুর-৩ আসনে কেন্দ্রীয় ৩ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এবার শরীয়তপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। দু’জনই সমানতালে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন। বর্তমানে এ আসনে এমপি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান আবারো মনোনয়ন চান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের এমপি। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু নরসিংদী-৫ আসনের সংসদ সদস্য। এ আসনে এবার মনোনয়ন চান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার। দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র রায় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এবং দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম এবার ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। সিলেট-১ আসনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

১০ হাজার নেতা-কর্মীর ঈদে বাড়ি যেতে ভয়!

আপডেট সময় ০৭:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৭
জাতীয় ডস্কঃ
আওয়ামী লীগের ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী ভয়ে আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন করতে নিজের এলাকায় যেতে পারছেন না। আগামী নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করার পর থেকে ১৩০ আসনে বর্তমান এমপিদের রোষানলে পড়েছেন তারা। এদের মধ্যে আছেন ১৩শ মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের বিপুল সংখ্যক সমর্থক নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে অনেক স্থানে অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবা, চাঁদাবাজি কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা, পাল্টা মামলা-হামলা শুরু হয়েছে। ক্রসফায়ারের হুমকিও পেয়েছেন অনেকে।
সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৩০ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল। হঠাৎ গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে এমপিরা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৩০ আসনের প্রতিটিতে গড়ে ১০০ জন নেতাকর্মী এখন এলাকা ছাড়া। আবার কিছু আসনে এমপিকে ঘায়েল করতে নানা ফন্দিফিকিরও শুরু করেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এক পক্ষের আরেক পক্ষকে বিতর্কিত করার লড়াই বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। দলের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে ঢাকায় কিংবা দূর সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটছে। কেন্দ্র থেকে দেয়া নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, ৩০০ আসনে সাড়ে তিন হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশীর একটি তালিকা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে জমা আছে। এর মধ্যে ৯০০ উইনেবল (যাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি) প্রার্থীর তালিকা করা হয়েছে। সরকারের তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা, বাছাই করা দলীয় কর্মীদের একটি জরিপ দল, সাত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের রিপোর্ট, পেশাদার দুটি জরিপ সংস্থা ও আমলাদের একটি প্রতিনিধি দলের জরিপ প্রতিবেদনে উঠে আসা চিত্র পর্যালোচনা করে এ তালিকা করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। বোর্ডের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীক পেতে মুখোমুখি লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের ২৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা। দলের প্রেসিডিয়াম থেকে শুরু করে সম্পাদকমণ্ডলী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদের এই নেতারা একই আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতোমধ্যে তারা সমানতালে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। নির্বাচনের দেড় বছর বাকি থাকলেও শেষ পর্যন্ত কে নৌকা প্রতীক পাবেন, তা নিয়ে স্নায়ুচাপ বাড়ছে নেতাদের মধ্যে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা (আপন ভাইবোন) এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা। চাঁদপুর-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জানা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এলাকায় তিনি গত তিন বছর ধরে গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে দীপু মনিও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। মাদারীপুর-৩ আসনে কেন্দ্রীয় ৩ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এবার শরীয়তপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। দু’জনই সমানতালে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন। বর্তমানে এ আসনে এমপি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান আবারো মনোনয়ন চান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের এমপি। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু নরসিংদী-৫ আসনের সংসদ সদস্য। এ আসনে এবার মনোনয়ন চান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার। দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র রায় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এবং দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম এবার ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। সিলেট-১ আসনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।