ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর: খালেদা জিয়া

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী বছর হবে জনগণের বছর। ইনশাআল্লাহ আমরা বিশ্বাস করি ২০১৮ সাল দেশের মানুষের বছর হবে এবং দেশ থেকে সকল অত্যাচার ও অত্যাচারী বিদায় নেবে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল ছিলো আওয়ামী লীগের ব্যাংক লুটের বছর। মানুষের ওপর জুলুম, অত্যাচারের বছর। এখন অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে। এই সরকারের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ট। দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি, গ্যাস, বিদ্যুত্, পানির উর্ধ্বগতি মানুষের দুঃখের সীমা নেই। এর মধ্যে বাজেট দিয়ে জনগণের পকেটে হাত দিয়েছে অত্যাচরী সরকার।
মঙ্গলবার লেডিস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মূলমঞ্চে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ, মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোট নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন খালেদা জিয়া।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বেগম জিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই যে বাজেট দিয়েছে, তারা মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে। এখন ব্যাংকে যদি ১ লাখ টাকা থাকে, তার মধ্য থেকে ৮ শত টাকা কেটে নেবে তারা। তাহলে থাকবে কী?
তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, যার এক লাখ টাকা আছে সে নাকি অনেক বড় লোক। অন্যদিকে তাদের যে ব্যাংকে হাজারো কোটি টাকা আছে, সেটা কিছু না। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে প্রত্যেকটা জিনিসপত্রের দাম বেশি। তারপরে গ্যাসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, পানির দাম বাড়িয়েছে। সরকার নাকি বিদ্যুত্ দিয়ে সয়লাব করে দিবে, বাংলাদেশ নাকি ঝলমল করবে। এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এখন সারাদেশ ঝলমল নয়, সারা দেশ অন্ধকারে ডুবে গেছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা। আর একেকটা উন্নয়ন করে,কিছু ওভার ব্রিজ-ট্রিজ যা করে তার ব্যয় কত যে বাড়ে, ৩/৪ গুন বেশি ব্যয়ে দেখিয়ে তারা এক একটা প্রকল্প করছে।
তিনি বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নাই। মানুষ কোনো ন্যায় বিচার পায় না। কারণ বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে আজকে সরকার, এই আওয়ামী লীগ। এদের হাত এতো লম্বা যে তারা কোথাও হাত দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। বেগম জিয়া বলেন,ব্যাংকিং খাতে চরম অরাজক পরিস্থিতি। ২০১৬ সাল ছিলো আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা প্রতিনিয়ত চুরি করেছে, চুরি করতে করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি করেছে, ব্যাংকের টাকা চুরি করে তারা পাচার করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুণ্ঠন ঘটনার তদন্তে প্রতিবেদন না দেয়াকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।নারী নির্যাতন, গুম-খুনসহ আইনশৃ*খলা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজকে মহিলারা দেশের ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ না। এমনকি শিশুরাও নিরাপদ না।
ইফতারে জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান,কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, খোন্দকার লুত্ফর রহমান, এনডিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ডিএল’র সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ ছিলেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ড. এনামুল হক চৌধুরী,বিএনপি চেয়পারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস,কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সঞ্জীব চৌধুরী প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।
ইত্তেফাক
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

তারেক রহমান ও কায়কোবাদ মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় মুরাদনগরে মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনা

২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর: খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ০৭:১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী বছর হবে জনগণের বছর। ইনশাআল্লাহ আমরা বিশ্বাস করি ২০১৮ সাল দেশের মানুষের বছর হবে এবং দেশ থেকে সকল অত্যাচার ও অত্যাচারী বিদায় নেবে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল ছিলো আওয়ামী লীগের ব্যাংক লুটের বছর। মানুষের ওপর জুলুম, অত্যাচারের বছর। এখন অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে। এই সরকারের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ট। দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি, গ্যাস, বিদ্যুত্, পানির উর্ধ্বগতি মানুষের দুঃখের সীমা নেই। এর মধ্যে বাজেট দিয়ে জনগণের পকেটে হাত দিয়েছে অত্যাচরী সরকার।
মঙ্গলবার লেডিস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মূলমঞ্চে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ, মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোট নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন খালেদা জিয়া।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বেগম জিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই যে বাজেট দিয়েছে, তারা মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে। এখন ব্যাংকে যদি ১ লাখ টাকা থাকে, তার মধ্য থেকে ৮ শত টাকা কেটে নেবে তারা। তাহলে থাকবে কী?
তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, যার এক লাখ টাকা আছে সে নাকি অনেক বড় লোক। অন্যদিকে তাদের যে ব্যাংকে হাজারো কোটি টাকা আছে, সেটা কিছু না। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে প্রত্যেকটা জিনিসপত্রের দাম বেশি। তারপরে গ্যাসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, পানির দাম বাড়িয়েছে। সরকার নাকি বিদ্যুত্ দিয়ে সয়লাব করে দিবে, বাংলাদেশ নাকি ঝলমল করবে। এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এখন সারাদেশ ঝলমল নয়, সারা দেশ অন্ধকারে ডুবে গেছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা। আর একেকটা উন্নয়ন করে,কিছু ওভার ব্রিজ-ট্রিজ যা করে তার ব্যয় কত যে বাড়ে, ৩/৪ গুন বেশি ব্যয়ে দেখিয়ে তারা এক একটা প্রকল্প করছে।
তিনি বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নাই। মানুষ কোনো ন্যায় বিচার পায় না। কারণ বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে আজকে সরকার, এই আওয়ামী লীগ। এদের হাত এতো লম্বা যে তারা কোথাও হাত দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। বেগম জিয়া বলেন,ব্যাংকিং খাতে চরম অরাজক পরিস্থিতি। ২০১৬ সাল ছিলো আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা প্রতিনিয়ত চুরি করেছে, চুরি করতে করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি করেছে, ব্যাংকের টাকা চুরি করে তারা পাচার করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুণ্ঠন ঘটনার তদন্তে প্রতিবেদন না দেয়াকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।নারী নির্যাতন, গুম-খুনসহ আইনশৃ*খলা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজকে মহিলারা দেশের ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ না। এমনকি শিশুরাও নিরাপদ না।
ইফতারে জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান,কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, খোন্দকার লুত্ফর রহমান, এনডিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ডিএল’র সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ ছিলেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ড. এনামুল হক চৌধুরী,বিএনপি চেয়পারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস,কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সঞ্জীব চৌধুরী প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।
ইত্তেফাক