ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫০ টাকা ছাড়াল পেঁয়াজের কেজি

জাতীয় :

পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা বেড়েই চলছে। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা ছুঁয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত রাজধানীতে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল দুই শ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার সকাল হতেই নগরবাসীকে আরও একবার অবাক হতে হয়েছে। রাতের পেরিয়ে সকাল হতে হতেই এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে পেঁয়াজের দর। বেলা একটা নাগাদ এই দাম ঠেকেছে আড়াইশো টাকায়। আর পাইকারি বাজারে সকালে ১৮০ টাকা থেকে দর বাড়তে বাড়তে দুপুর নাগাদ ঠেকেছে ২২০ টাকায়।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার জুড়ে আলোচনার শীর্ষে পেঁয়াজের দাম।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কম এবং পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেশি।

চট্টগ্রামে পেঁয়াজ দুই শ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানা গেছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগীয় এবং জেলা শহরেও বেড়ে চলেছে পেঁয়াজের বাজার।

দাম বৃদ্ধির হিড়িক দেখা গেছে অনলাইনেও। দেশের অনলাইন ভিত্তিক কিছু প্রতিষ্ঠান গতকাল ২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও সকাল হতেই দাম বেড়েছে কেজি প্রতি দশ টাকা।

পেঁয়াজের রেকর্ড পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশ ক্রেতারা। মুদি দোকানি সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এক কেজি পেঁয়াজের দাম আড়াই শ টাকা! এটা মানা যায়? সরকার কি করে? অন্যান্য দেশে দাম কম থাকলে আমাদের দেশে বেশি কেন’?

সরকারের পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীদের দুষছেন সাধারণ মানুষ। ইউনূস আলী নামের এক ক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গতকাল দেখলাম দুই শ টাকা। আড়াই শ গ্রাম নিয়ে গেছিলাম। ভাবলাম আজ যদি দাম একটু কমে। আজ দেখি আড়াই শ। কাল নিশ্চয়ই তিন শ হবে!’

সংশ্লিষ্টদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে যারা আছেন, তাদের এ বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই। যদি থাকতে তাহলে কারও গোডাউনে পেঁয়াজ থাকত না। দামও তো বেশি হতো না।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

২৫০ টাকা ছাড়াল পেঁয়াজের কেজি

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

জাতীয় :

পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা বেড়েই চলছে। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা ছুঁয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত রাজধানীতে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল দুই শ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার সকাল হতেই নগরবাসীকে আরও একবার অবাক হতে হয়েছে। রাতের পেরিয়ে সকাল হতে হতেই এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে পেঁয়াজের দর। বেলা একটা নাগাদ এই দাম ঠেকেছে আড়াইশো টাকায়। আর পাইকারি বাজারে সকালে ১৮০ টাকা থেকে দর বাড়তে বাড়তে দুপুর নাগাদ ঠেকেছে ২২০ টাকায়।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার জুড়ে আলোচনার শীর্ষে পেঁয়াজের দাম।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কম এবং পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেশি।

চট্টগ্রামে পেঁয়াজ দুই শ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানা গেছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগীয় এবং জেলা শহরেও বেড়ে চলেছে পেঁয়াজের বাজার।

দাম বৃদ্ধির হিড়িক দেখা গেছে অনলাইনেও। দেশের অনলাইন ভিত্তিক কিছু প্রতিষ্ঠান গতকাল ২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও সকাল হতেই দাম বেড়েছে কেজি প্রতি দশ টাকা।

পেঁয়াজের রেকর্ড পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশ ক্রেতারা। মুদি দোকানি সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এক কেজি পেঁয়াজের দাম আড়াই শ টাকা! এটা মানা যায়? সরকার কি করে? অন্যান্য দেশে দাম কম থাকলে আমাদের দেশে বেশি কেন’?

সরকারের পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীদের দুষছেন সাধারণ মানুষ। ইউনূস আলী নামের এক ক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গতকাল দেখলাম দুই শ টাকা। আড়াই শ গ্রাম নিয়ে গেছিলাম। ভাবলাম আজ যদি দাম একটু কমে। আজ দেখি আড়াই শ। কাল নিশ্চয়ই তিন শ হবে!’

সংশ্লিষ্টদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে যারা আছেন, তাদের এ বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই। যদি থাকতে তাহলে কারও গোডাউনে পেঁয়াজ থাকত না। দামও তো বেশি হতো না।’