ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫৬ ব্যাংকে সরকারের কালো থাবা পড়েছে : রিজভী

জাতীয় ডেস্ক:
সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে যে ৫৭টি ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৫৬টি ব্যাংকেই সরকারের কালো থাবা পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতে যে ঋণ জালিয়াতির ঘটনা এসব ব্যাংকে ঘটেছে তা রীতিমত আঁতকে ওঠার মতো। তারা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে সে টাকা পাচার করে দিয়ে বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে, গড়ে তুলছে সেকেন্ডহোম আর বেগম পল্লী। গতকাল এক মন্ত্রী বলেছেন মন্ত্রীরা এখন বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে। ব্যাংকিংখাতে ভয়াবহ লুটপাটে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের গ্রাহকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে  এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, শুধু ব্যাংকিং সেক্টর নয় বীমা খাতসহ সমস্ত আর্থিকখাতেও চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। এর আগে শেয়ার বাজার লুট করে লাখ লাখ গ্রাহককে কিভাবে পথে বসিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা।
শেয়ার বাজারে সর্বস্ব হারিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক আত্মহত্যাও করেছে। দেশের এমন কোন সেক্টর, এমন কোন খাত আছে যেখানে ক্ষমতাসীনদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়নি।
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, নিয়োগ বানিজ্য আর লুণ্ঠিত সম্পদের কাড়াকাড়ি নিয়ে নিজেরা নিজেদের লোককে হত্যার ঘটনা ক্ষমতাসীনদের এখন নিত্য সঙ্গী। লুটের রাজত্ব কায়েম করে গোটাদেশটাকে ভোটারবিহীন সরকার চিবিয়ে গিলে ফেলেছে। আর এর খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাসস।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

৫৬ ব্যাংকে সরকারের কালো থাবা পড়েছে : রিজভী

আপডেট সময় ১২:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্ক:
সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে যে ৫৭টি ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৫৬টি ব্যাংকেই সরকারের কালো থাবা পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতে যে ঋণ জালিয়াতির ঘটনা এসব ব্যাংকে ঘটেছে তা রীতিমত আঁতকে ওঠার মতো। তারা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে সে টাকা পাচার করে দিয়ে বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে, গড়ে তুলছে সেকেন্ডহোম আর বেগম পল্লী। গতকাল এক মন্ত্রী বলেছেন মন্ত্রীরা এখন বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে। ব্যাংকিংখাতে ভয়াবহ লুটপাটে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের গ্রাহকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে  এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, শুধু ব্যাংকিং সেক্টর নয় বীমা খাতসহ সমস্ত আর্থিকখাতেও চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। এর আগে শেয়ার বাজার লুট করে লাখ লাখ গ্রাহককে কিভাবে পথে বসিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা।
শেয়ার বাজারে সর্বস্ব হারিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক আত্মহত্যাও করেছে। দেশের এমন কোন সেক্টর, এমন কোন খাত আছে যেখানে ক্ষমতাসীনদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়নি।
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, নিয়োগ বানিজ্য আর লুণ্ঠিত সম্পদের কাড়াকাড়ি নিয়ে নিজেরা নিজেদের লোককে হত্যার ঘটনা ক্ষমতাসীনদের এখন নিত্য সঙ্গী। লুটের রাজত্ব কায়েম করে গোটাদেশটাকে ভোটারবিহীন সরকার চিবিয়ে গিলে ফেলেছে। আর এর খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাসস।