খেলাধূলা ডেস্ক:
এক গোলে পিছিয়ে থেকেও ইনজুরি টাইমের গোলে মেক্সিকোকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। সোমবার ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ব্রায়ান গঞ্জালেজের হেডে এগিয়ে গিয়েছিল মেক্সিকো। ৮৪ মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্রাজিলের পক্ষে সমতা ফেরান কাইয়ো জর্জ। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে লাজারোর গোলে ব্রাজিলের শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়।
এই নিয়ে চতুর্থবারের মত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল ব্রাজিল। অন্যদিকে বয়সভিত্তিক এই বিশ্বকাপে গত আট বছরে তৃতীয় ফাইনাল খেলল মেক্সিকো।
ঘরের মাঠে দলীয় সমর্থকদের উচ্ছাসের মুখে দুর্দান্ত খেলা ব্রাজিল পুরো ম্যাচে ক্রসবারে বল লাগিয়েছে দুইবার। এছাড়াও গোলের বেশ কয়েকটি দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছে। কিন্ত মেক্সিকানদের দুর্দান্ত রক্ষণভাগের কারণে গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ইউজেনিও পিজ্জুটোর বাম উইংয়ের ক্রস থেকে গঞ্জালেস হেড দিয়ে সফরকারীদের এগিয়ে দেন। পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক দর্শকরা একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যায়। কিন্তু সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয় থেকেও জয় ছিনিয়ে নেয়া ব্রাজিল আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।
৮৪তম মিনিটে গ্যাব্রিয়েল ভেরনকে ফাউলের অপরাধে জেসুস গোমেজের বিপক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি আন্দ্রিস ট্রেইমানিস। যদিও প্রথমদিকে রেফারি পেনাল্টির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভিএআরের সহায়তায় ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দেয়া হয়।
মেক্সিকান কোচ হোসে মারিয়া রুইজ ম্যাচ শেষে রেফারির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছেন ফাইনালে এই ধরনের সিদ্ধান্তের নেতিবাচক শিকার সবসময় মেক্সিকোকেই হতে হয়।
স্পট কিক থেকে কাইয়ো জর্জ কোন ভুল করেননি। যদিও মেক্সিকান গোলরক্ষক এডুয়ার্ডো গার্সিয়া শটটি প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন। এই গোলের সুবাদেই ব্রাজিল শিরোপা জয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রাইট-ব্যাক ইয়ান কুটোর ক্রস থেকে লাজোরো দলকে জয় উপহার দেন।
দিনের শুরুতে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আরনাড কালিমুয়েনডো-মুইনগারের হ্যাটট্রিকে পিছিয়ে থেকেও নেদারল্যান্ডকে ৩-১ গোলে পরাজিত তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ফ্রান্স। ৬ গোল করে ডাচম্যান সোয়ে হানসেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জয় করেছেন।