তজাতীয় ডেস্কঃ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আদৌ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না, এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো একটি অংশের সহায়তায় কেউ কেউ দেশে উদ্দেশ্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে কি না-এ বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা রয়েছে। এই সরকারের পক্ষে আদৌ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না-কোনো কোনো মহল থেকে এ ধরনের প্রশ্ন উপস্থাপন বোধহয় এখন আর বিচ্ছিন্ন বক্তব্য হিসেবে দেখার সুযোগ নাই।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সংঘটিত কিছু নৃশংস ঘটনা জনমনে অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই সভার আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে দেশে এমন এক নির্বাচনী ব্যবস্থা থাকা জরুরী, যেখানে প্রতিটি ভোটার নির্ভয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। দেশে জনগণের ক্ষমতায়ণ নিশ্চিত করা না গেলে আমাদের কোনো আয়োজনই কিন্তু কাজে আসবে না, টেকসই হবে না।’
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও স্বচ্ছ ও সাহসী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণ আপনাদের (সরকার) পাশে থাকবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের পাশে থাকবে, যদি আপনাদের ভূমিকা আরও স্বচ্ছ এবং সাহসী হয়।’
গণতন্ত্রে উত্তরণে দেশবাসীর কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে তারেক বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কোনও আবেগতাড়িত ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে দেশবাসীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।