ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘‘অবৈধ বাংলাদেশি’’ আখ্যা দেয়া ৪০ লাখ ভারতীয়র ভাগ্য নির্ধারণ আগস্টে

অন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আসামের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে সময়সীমা বাড়াল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ আগস্টের মধ্যে এনআরসি তালিকার চূড়ান্ত খসড়া জমা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে খসড়া তালিকার ২০% ফের খতিয়ে দেখার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, তালিকায় ভুল করে যাতে কারোর নাম উঠে না যায় বা ভুলবশতঃ কারোর নাম বাদ চলে না যায়, তার জন্য আরও কিছু সময় লাগবে বলে আদালতে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি আরএফ নরিম্যান সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করা ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামই দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে এনআরসি রয়েছে। ১৯৫১ সালে প্রথম এনআরসি তৈরি হয়।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন বা নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। যাদের বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। তাদের অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে দেখা চায় বিজেপি।

মোট ৩.২৯ কোটির মধ্যে ২.৮৯ কোটি মানুষের নাম ওঠে তালিকায়। বিরোধীদের অভিযোগ, মুসলিমদের দেশছাড়া করতে আসামে এই পন্থা নিয়েছে বিজেপি সরকার। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, যোগ্য নাগরিকদের চিহ্নিত করতেই তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

আসামে তালিকা ঘোষণার পর রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গসহ সারা ভারতেও একই ধরনের তালিকা তৈরি করে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ তাড়ানোর অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘‘অবৈধ বাংলাদেশি’’ আখ্যা দেয়া ৪০ লাখ ভারতীয়র ভাগ্য নির্ধারণ আগস্টে

আপডেট সময় ০৩:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
অন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আসামের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে সময়সীমা বাড়াল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ আগস্টের মধ্যে এনআরসি তালিকার চূড়ান্ত খসড়া জমা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে খসড়া তালিকার ২০% ফের খতিয়ে দেখার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, তালিকায় ভুল করে যাতে কারোর নাম উঠে না যায় বা ভুলবশতঃ কারোর নাম বাদ চলে না যায়, তার জন্য আরও কিছু সময় লাগবে বলে আদালতে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি আরএফ নরিম্যান সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করা ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামই দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে এনআরসি রয়েছে। ১৯৫১ সালে প্রথম এনআরসি তৈরি হয়।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন বা নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। যাদের বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। তাদের অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে দেখা চায় বিজেপি।

মোট ৩.২৯ কোটির মধ্যে ২.৮৯ কোটি মানুষের নাম ওঠে তালিকায়। বিরোধীদের অভিযোগ, মুসলিমদের দেশছাড়া করতে আসামে এই পন্থা নিয়েছে বিজেপি সরকার। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, যোগ্য নাগরিকদের চিহ্নিত করতেই তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

আসামে তালিকা ঘোষণার পর রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গসহ সারা ভারতেও একই ধরনের তালিকা তৈরি করে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ তাড়ানোর অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।