ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অলির বক্তব্যে অস্বস্তি বিএনপিতে, ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ছেন কাদের সিদ্দিকী

জাতীয় ডেস্কঃ

জোটের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনঢ় অবস্থান থেকে হঠাৎ ইউটার্ন নিয়ে বিএনপি সংসদে যোগ দেওয়ায় নানামুখী সংকট দেখা দিয়েছে দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। ক্ষোভে ২০ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গত ৬ মে জোট থেকে বেরিয়ে গেছেন। একই ইস্যুতে সংক্ষুব্ধ ২০ দলের আরেক শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন- সংসদে যোগ দিয়ে বিএনপি আত্মঘাতী কাজ করেছে। প্রয়োজনে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

 

বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জেলে থেকে আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব না, তারেক রহমানের পক্ষেও লন্ডন থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকা সম্ভব নয়, সুতরাং আমাদেরকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে এবং আমি সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করবো-হয় আপনারা নেতৃত্ব দিন, নইলে আমাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করুন।’ গত ১৬ মে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে অলি আহমদের এই বক্তব্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে বিএনপিতে। দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অন্য শরিকদের মধ্যেও এনিয়ে সন্দেহ-সংশয় বিরাজ করছে। এছাড়া অলি আহমদের ১৬ মে’র ওই অনুষ্ঠানে ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সরব উপস্থিতিও ভাবনায় ফেলেছে বিএনপিসহ ২০ দলকে। অলি আহমদের ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই অলি আহমদের ছবি দিয়ে তার ওই বক্তব্য ট্রল করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এনিয়ে এক ধরনের পারস্পরিক অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে।

বিএনপি ও ২০ দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, হঠাত্ অলি আহমদের এই বক্তব্য বিএনপি ও ২০ দলকে বিব্রত করেছে। তাছাড়া অলি আহমদের বক্তব্যটি কখনও হুবহু, কখনও আংশিক সম্পাদনা করে, কখনও বিকৃত আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা জানান, বিষয়টি নিয়ে তারেক রহমান ইতোমধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি ২০ দলের দুটি শরিক দলের প্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারেক রহমান।

অলি আহমদের এই বক্তব্যের পাশাপাশি এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের একটি টেলিভিশনের টকশোতে দেওয়া বক্তব্য পারস্পরিক সন্দেহ-সংশয়কে আরও পোক্ত করেছে। ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদের উপস্থিতিতে ওই টকশোতে এলডিপি নেতা সেলিম বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বিশেষ কোনো মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই জোটকে নির্বাচনে নিয়েছেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই ড. কামাল এই কাজটি করেছেন। ওই টকশোতে সেলিম আরও বলেছেন, গণফোরামের মত দলের পক্ষে কোনোদিন ভোটে জিতে সংসদে যাওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বিএনপির ঘাড়ে চড়ে গণফোরামের দুইজন সংসদ সদস্য আজ সংসদে।

গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাক আহমেদ ইত্তেফাককে বলেন, অলি আহমদ ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের বক্তব্যের যোগসূত্র রয়েছেন। তাদের বক্তব্য ঐক্যফ্রন্টের পারস্পরিক বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিষয়টি ২০ দলের মধ্যে সুরাহা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন গণফোরামের এই নেতা।

এদিকে, গত ৯ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে থাকা অসংগতি আগামী ৮ জুনের মধ্যে নিরসন করা না হলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন কাদের সিদ্দিকী। হুমকি দেওয়ার তারিখেই ড. কামাল হোসেনকে চিঠি দিয়ে একই কথা বলেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে ঐক্যফ্রন্টকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়নি। বিশেষ করে, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই সাতজন শপথ নিলেন। ঐক্যফ্রন্ট পরিচালনায় কেন এই দুর্বলতা?

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক ইত্তেফাককে জানান, সন্তোষজনক জবাব না পেলে এবং অসঙ্গতিগুলো দূর করার উদ্যোগ নেওয়া না হলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে। ঐক্যফ্রন্টের একটি শরিক দলের প্রধান নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ইত্তেফাককে বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল শপথ না নেওয়ার। সেখানে বিএনপি ও গণফোরামের নির্বাচিত সাতজন শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আমরা এক ধরনের ধন্দে পড়ে গেছি। বিএনপি ও গণফোরামের বিষয়টি দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত।’

অন্যদিকে, গতকাল সোমবার গণফোরামের কর্মীসভায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় গণফোরামের একাধিক নেতা বলেন, সংসদে না যাওয়ার পক্ষে বিএনপি শুরু থেকে অনড় অবস্থানে ছিল। যে কারণে গত ৭ মার্চ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে (মৌলভীবাজার-২) গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করে। কিন্তু বিএনপি শেষ পর্যন্ত সংসদে গেছে। বিএনপির হঠাত্ অবস্থান বদলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণফোরামও। কারণ সুলতান মনসুরকে হারাতে হয়েছে। তা না হলে মোকাব্বির খান (সিলেট-২) সহ গণফোরামের দুইজন সংসদ সদস্য সংসদে দলের প্রতিনিধিত্ব করতেন, এতে দল হিসেবে গণফোরাম লাভবান হতে পারতো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

অলির বক্তব্যে অস্বস্তি বিএনপিতে, ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ছেন কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় ০৪:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

জোটের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনঢ় অবস্থান থেকে হঠাৎ ইউটার্ন নিয়ে বিএনপি সংসদে যোগ দেওয়ায় নানামুখী সংকট দেখা দিয়েছে দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। ক্ষোভে ২০ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গত ৬ মে জোট থেকে বেরিয়ে গেছেন। একই ইস্যুতে সংক্ষুব্ধ ২০ দলের আরেক শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন- সংসদে যোগ দিয়ে বিএনপি আত্মঘাতী কাজ করেছে। প্রয়োজনে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

 

বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জেলে থেকে আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব না, তারেক রহমানের পক্ষেও লন্ডন থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকা সম্ভব নয়, সুতরাং আমাদেরকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে এবং আমি সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করবো-হয় আপনারা নেতৃত্ব দিন, নইলে আমাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করুন।’ গত ১৬ মে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে অলি আহমদের এই বক্তব্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে বিএনপিতে। দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অন্য শরিকদের মধ্যেও এনিয়ে সন্দেহ-সংশয় বিরাজ করছে। এছাড়া অলি আহমদের ১৬ মে’র ওই অনুষ্ঠানে ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সরব উপস্থিতিও ভাবনায় ফেলেছে বিএনপিসহ ২০ দলকে। অলি আহমদের ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই অলি আহমদের ছবি দিয়ে তার ওই বক্তব্য ট্রল করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এনিয়ে এক ধরনের পারস্পরিক অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে।

বিএনপি ও ২০ দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, হঠাত্ অলি আহমদের এই বক্তব্য বিএনপি ও ২০ দলকে বিব্রত করেছে। তাছাড়া অলি আহমদের বক্তব্যটি কখনও হুবহু, কখনও আংশিক সম্পাদনা করে, কখনও বিকৃত আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা জানান, বিষয়টি নিয়ে তারেক রহমান ইতোমধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি ২০ দলের দুটি শরিক দলের প্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারেক রহমান।

অলি আহমদের এই বক্তব্যের পাশাপাশি এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের একটি টেলিভিশনের টকশোতে দেওয়া বক্তব্য পারস্পরিক সন্দেহ-সংশয়কে আরও পোক্ত করেছে। ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদের উপস্থিতিতে ওই টকশোতে এলডিপি নেতা সেলিম বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বিশেষ কোনো মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই জোটকে নির্বাচনে নিয়েছেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই ড. কামাল এই কাজটি করেছেন। ওই টকশোতে সেলিম আরও বলেছেন, গণফোরামের মত দলের পক্ষে কোনোদিন ভোটে জিতে সংসদে যাওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বিএনপির ঘাড়ে চড়ে গণফোরামের দুইজন সংসদ সদস্য আজ সংসদে।

গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাক আহমেদ ইত্তেফাককে বলেন, অলি আহমদ ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের বক্তব্যের যোগসূত্র রয়েছেন। তাদের বক্তব্য ঐক্যফ্রন্টের পারস্পরিক বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিষয়টি ২০ দলের মধ্যে সুরাহা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন গণফোরামের এই নেতা।

এদিকে, গত ৯ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে থাকা অসংগতি আগামী ৮ জুনের মধ্যে নিরসন করা না হলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন কাদের সিদ্দিকী। হুমকি দেওয়ার তারিখেই ড. কামাল হোসেনকে চিঠি দিয়ে একই কথা বলেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে ঐক্যফ্রন্টকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়নি। বিশেষ করে, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই সাতজন শপথ নিলেন। ঐক্যফ্রন্ট পরিচালনায় কেন এই দুর্বলতা?

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক ইত্তেফাককে জানান, সন্তোষজনক জবাব না পেলে এবং অসঙ্গতিগুলো দূর করার উদ্যোগ নেওয়া না হলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে। ঐক্যফ্রন্টের একটি শরিক দলের প্রধান নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ইত্তেফাককে বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল শপথ না নেওয়ার। সেখানে বিএনপি ও গণফোরামের নির্বাচিত সাতজন শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আমরা এক ধরনের ধন্দে পড়ে গেছি। বিএনপি ও গণফোরামের বিষয়টি দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত।’

অন্যদিকে, গতকাল সোমবার গণফোরামের কর্মীসভায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় গণফোরামের একাধিক নেতা বলেন, সংসদে না যাওয়ার পক্ষে বিএনপি শুরু থেকে অনড় অবস্থানে ছিল। যে কারণে গত ৭ মার্চ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে (মৌলভীবাজার-২) গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করে। কিন্তু বিএনপি শেষ পর্যন্ত সংসদে গেছে। বিএনপির হঠাত্ অবস্থান বদলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণফোরামও। কারণ সুলতান মনসুরকে হারাতে হয়েছে। তা না হলে মোকাব্বির খান (সিলেট-২) সহ গণফোরামের দুইজন সংসদ সদস্য সংসদে দলের প্রতিনিধিত্ব করতেন, এতে দল হিসেবে গণফোরাম লাভবান হতে পারতো।