ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অশান্ত পশ্চিমবঙ্গে ৬০ হাজার ‘শান্তি বাহিনী’ গঠনের সিদ্ধান্ত মমতার

প্রবাস ডেস্কঃ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর এই উত্তেজনার মধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় শান্তি বাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, রাজ্যের ৬০ হাজার নির্বাচনী বুথ এলাকার প্রতিটিতে একটি করে শান্তি বাহিনী তৈরি করবে প্রশাসন, যার মধ্যে স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই পুলিশ-প্রশাসনও থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
মমতা বলেন, ‘সব ধর্মের প্রতিনিধি, স্থানীয় ক্লাব, ছাত্র-যুবদের নিয়ে রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার নির্বাচনী বুথ ভিত্তিক শান্তি বাহিনী তৈরি করবে পুলিশ প্রশাসন। কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য নজরদারির কাজ চালাবে এই বাহিনী।’
অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে আবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে এবারে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের। উত্তর চব্বিশ পরগণায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বাদুরিয়া, বসিরহাট, দেগঙ্গা আর স্বরূপনগরে গত সোমবার থেকে চলতে থাকা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হিংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র কাবাঘরের একটি ফটোশপ করা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে।
এরপরেও নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে গত কয়েকদিন ধরেই, যার জেরে অনেক জায়গাতেই অশান্তি ছড়িয়েছিল। রাজ্য সরকার মনে করছে কেউ বা কোনো গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে কী না, অথবা উস্কানিমূলক পোস্ট করা হচ্ছে কী না, তার ওপরে একেবারে তৃণমূল স্তরে নজরদারি চালানো দরকার।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

অশান্ত পশ্চিমবঙ্গে ৬০ হাজার ‘শান্তি বাহিনী’ গঠনের সিদ্ধান্ত মমতার

আপডেট সময় ০৬:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০১৭
প্রবাস ডেস্কঃ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর এই উত্তেজনার মধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় শান্তি বাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, রাজ্যের ৬০ হাজার নির্বাচনী বুথ এলাকার প্রতিটিতে একটি করে শান্তি বাহিনী তৈরি করবে প্রশাসন, যার মধ্যে স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই পুলিশ-প্রশাসনও থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
মমতা বলেন, ‘সব ধর্মের প্রতিনিধি, স্থানীয় ক্লাব, ছাত্র-যুবদের নিয়ে রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার নির্বাচনী বুথ ভিত্তিক শান্তি বাহিনী তৈরি করবে পুলিশ প্রশাসন। কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য নজরদারির কাজ চালাবে এই বাহিনী।’
অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে আবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে এবারে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের। উত্তর চব্বিশ পরগণায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বাদুরিয়া, বসিরহাট, দেগঙ্গা আর স্বরূপনগরে গত সোমবার থেকে চলতে থাকা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হিংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র কাবাঘরের একটি ফটোশপ করা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে।
এরপরেও নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে গত কয়েকদিন ধরেই, যার জেরে অনেক জায়গাতেই অশান্তি ছড়িয়েছিল। রাজ্য সরকার মনে করছে কেউ বা কোনো গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে কী না, অথবা উস্কানিমূলক পোস্ট করা হচ্ছে কী না, তার ওপরে একেবারে তৃণমূল স্তরে নজরদারি চালানো দরকার।