ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা হাল্কা ভাবে নেবেন না

লাইফস্টাইল:

আমরা অনেক সময়ে খুব হালকা ভাবে অ্যাপেন্ডিক্সের বিষয়টাকে দেখলেও এর ব্যথা কখনও কখনও মারাত্মক রূপ নেয়।অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে।

নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। ক্রমশ সেই ব্যথা ছড়াতে থাকে ডান দিকে। এর সঙ্গে জ্বর, বমি বা পেট খারাপও হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে কলিক পেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়।যাদের প্রায়ই মাথা ধরা, বমিভাব, দীর্ঘ দিন পেটে ব্যথা রয়েছে তাদের অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রোগী পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।

অ্যাপেন্ডিক্স হল ৩.৫ ইঞ্চির একটি ছোট্ট টিউবের মতো দেখতে অংশ যা আমাদের পেটের নিচের অংশে অন্ত্রের মধ্যে অবস্থান করে। কোনও ব্যক্তির অ্যাপেন্ডিক্সের অংশে ইনফেকশন তৈরি হলে দুর্বিসহ ব্যথা ও জ্বালা অনুভূত হয়। এই রোগকে ডাক্তাররা অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলেন। অনেক রোগী কিন্তু প্রথম দিকে ধরতেই পারেন না যে তিনি অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন। তার পর একদিন হঠাৎ অ্যাপেন্ডিক্স ব্লাস্ট হলে তখন তড়িঘড়ি করে সার্জারি করা ছাড়া আর কোনও পথ থাকে না।

Appendix Pain and the Signs of… | Cary Gastroenterology Associates

এই সমস্ত লক্ষণ দেখলে ভুলেও দেরি করবেন না। পরামর্শ নিন ডাক্তারের থেকে। কারণ অ্যাপেন্ডিক্সকে অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এই ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের খাদ্যাভাসে সামান্য পরিবর্তন আনা যেতেই পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এগুলো কী কী!

মেথি

Fenugreek and Diabetes - Blood Sugar Levels Effects & Metabolism

মেথি অ্যাপেন্ডিক্সের জন্য খুবই ভালো। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের চারপাশের শ্লেষ্মা জমতে দেয় না, ফলে ইনফেকশনের চান্স অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া মেথি অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। প্রথমে এক লিটার জলে দু’চামচ মেথি দানা ফেলে আধ ঘন্টার মতো ফুটিয়ে নিতে হবে। তার পর মেথির দানাগুলো ছেঁকে নিয়ে দিনে দু’বার ওই জল খেতে হবে। এতে রোগীরা ব্যথার হাত থেকেও কিছুটা আরাম পাবেন।

পুদিনা

Lesser-Known Uses Of Mint For Skin Care. Read On - KalingaTV

পুদিনাও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। এতে রোগীরা বমিভাব, গ্যাস ইস্যু ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাবেন। চা বা সাধারণ ভাবে জলের সঙ্গের মিশিয়ে দিনে দু’বার তা খেলেই যথেষ্ট।

আমন্ড তেল

Health Benefits and Uses of Almond Oil

আমন্ড তেল দিয়ে মাসাজ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কমে যায়। প্রথমে পেটে অ্যাপেন্ডিক্সের অংশে গরম কিছু রাখতে হবে। তার পর ওই জায়গায় আমন্ড তেলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ধীরে ধীরে মালিশ করে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত রোগী আরাম না পাচ্ছেন।

এছাড়াও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের হাত থেকে বাঁচতে গাজর, শশা ও বীটের জুস খাওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি মূলো, ধনেপাতা ও পালং শাকের জুসও অ্যাপেন্ডিক্সের জন্য ভালো। দিনে দু’বার এই জুস খেলে ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা হাল্কা ভাবে নেবেন না

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

লাইফস্টাইল:

আমরা অনেক সময়ে খুব হালকা ভাবে অ্যাপেন্ডিক্সের বিষয়টাকে দেখলেও এর ব্যথা কখনও কখনও মারাত্মক রূপ নেয়।অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে।

নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। ক্রমশ সেই ব্যথা ছড়াতে থাকে ডান দিকে। এর সঙ্গে জ্বর, বমি বা পেট খারাপও হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে কলিক পেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়।যাদের প্রায়ই মাথা ধরা, বমিভাব, দীর্ঘ দিন পেটে ব্যথা রয়েছে তাদের অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রোগী পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।

অ্যাপেন্ডিক্স হল ৩.৫ ইঞ্চির একটি ছোট্ট টিউবের মতো দেখতে অংশ যা আমাদের পেটের নিচের অংশে অন্ত্রের মধ্যে অবস্থান করে। কোনও ব্যক্তির অ্যাপেন্ডিক্সের অংশে ইনফেকশন তৈরি হলে দুর্বিসহ ব্যথা ও জ্বালা অনুভূত হয়। এই রোগকে ডাক্তাররা অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলেন। অনেক রোগী কিন্তু প্রথম দিকে ধরতেই পারেন না যে তিনি অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন। তার পর একদিন হঠাৎ অ্যাপেন্ডিক্স ব্লাস্ট হলে তখন তড়িঘড়ি করে সার্জারি করা ছাড়া আর কোনও পথ থাকে না।

Appendix Pain and the Signs of… | Cary Gastroenterology Associates

এই সমস্ত লক্ষণ দেখলে ভুলেও দেরি করবেন না। পরামর্শ নিন ডাক্তারের থেকে। কারণ অ্যাপেন্ডিক্সকে অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এই ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের খাদ্যাভাসে সামান্য পরিবর্তন আনা যেতেই পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এগুলো কী কী!

মেথি

Fenugreek and Diabetes - Blood Sugar Levels Effects & Metabolism

মেথি অ্যাপেন্ডিক্সের জন্য খুবই ভালো। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের চারপাশের শ্লেষ্মা জমতে দেয় না, ফলে ইনফেকশনের চান্স অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া মেথি অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। প্রথমে এক লিটার জলে দু’চামচ মেথি দানা ফেলে আধ ঘন্টার মতো ফুটিয়ে নিতে হবে। তার পর মেথির দানাগুলো ছেঁকে নিয়ে দিনে দু’বার ওই জল খেতে হবে। এতে রোগীরা ব্যথার হাত থেকেও কিছুটা আরাম পাবেন।

পুদিনা

Lesser-Known Uses Of Mint For Skin Care. Read On - KalingaTV

পুদিনাও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। এতে রোগীরা বমিভাব, গ্যাস ইস্যু ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাবেন। চা বা সাধারণ ভাবে জলের সঙ্গের মিশিয়ে দিনে দু’বার তা খেলেই যথেষ্ট।

আমন্ড তেল

Health Benefits and Uses of Almond Oil

আমন্ড তেল দিয়ে মাসাজ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কমে যায়। প্রথমে পেটে অ্যাপেন্ডিক্সের অংশে গরম কিছু রাখতে হবে। তার পর ওই জায়গায় আমন্ড তেলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ধীরে ধীরে মালিশ করে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত রোগী আরাম না পাচ্ছেন।

এছাড়াও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের হাত থেকে বাঁচতে গাজর, শশা ও বীটের জুস খাওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি মূলো, ধনেপাতা ও পালং শাকের জুসও অ্যাপেন্ডিক্সের জন্য ভালো। দিনে দু’বার এই জুস খেলে ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।