জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ যে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়। তাদের প্রস্তাবনায় জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন হয়নি। কীভাবে নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া যায় সেই কৌশল আছে ওই সব প্রস্তাবনায়। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ভয় ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, সবাই চায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সেনাবাহিনী মোতায়েন। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় সেনাবাহিনী ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকুক, সেই কারণে তারা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে চায় না।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী বলেন, বিগত আওয়ামী শাসনামলে অনেক দলীয় ক্যাডারের লাইসেন্স ও বিনা লাইসেন্সে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। এখন ভোট গ্রহণের দিন আওয়ামী লীগের অনুকূলে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যালট বাক্স ভর্তি করতে সেই অস্ত্রগুলোই ব্যবহার হবে। সুতরাং সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দিলে ভোট-সন্ত্রাস রোধ করা যাবে না।
রিজভী বলেন, এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে চলেছে বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেছে, মানুষের সম্পদ জোরপূর্বক লুণ্ঠন করেছে, উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে, মন্ত্রীদের কথায় সেটির কিঞ্চিৎ ফুটে উঠেছে। তারা গোটা অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এখন ক্যান্সারের আকার ধারণ করেছে। সারাদেশে এখন ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের মচ্ছব চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমদ তালুকদার, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।