তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
আগামী জুন মাসে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে দৈত্যাকার এক গ্রহাণু। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েই ক্ষান্ত থাকবে না এই গ্রহাণুটি। রীতিমতো বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যার ঝলকানিতে ভরে যাবে ৮০০ বর্গমাইল এলাকার আকাশ।
গবেষকরা জটিল অঙ্ক কষে জানিয়েছেন, আগামী জুনে একটি দৈত্যাকার অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। তার পর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা ফাটবে ভয়ঙ্কর শব্দে। ঠিক এমনটাই হয়েছিল আজ থেকে ১১০ বছর আগে। ১৯০৮-এর ৩০ জুন। ওই দিন সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার আকাশে আচমকাই একটি দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু ফেটেছিল ভয়ঙ্কর শব্দে। যার ঝলকানিতে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল তুঙ্গুস্কা আর তার আশপাশের ৮০০ বর্গমাইল এলাকার সব গাছপালা। থরথর করে কেঁপে উঠেছিল একটি বিশাল এলাকা। জনবসতিহীন এলাকায় ওই ঘটনায় অবশ্য কোনো প্রাণহানি হয়নি। ওই বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এখনো জানতে পারেননি ঠিক কী কারণে সেদিন সেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেদিন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধূমকেতু না গ্রহাণু ঢুকে পড়েছিল তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।
কেউ কেউ বলেছিলেন, সেটা আসলে ছিল বড় ধরনের উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। যার নাম ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। ‘টরিড’ উল্কাবৃষ্টি সাধারণত বছরে দুবার হয়। জুনের শেষে আর অক্টোবরের শেষ দিকে বা নভেম্বরের শুরুর দিকে। এর মধ্যে জুনে যে উল্কাবৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। এগুলো রাতে হয় না, হয় দিনের আলোয় যখন সূর্যের আলোয় অন্য নক্ষত্রদের আলো ঢাকা পড়ে যায়।
গবেষকদের ধারণা, আগামী জুনের উল্কাবৃষ্টির মধ্যে যতটা বড় চেহারার মহাজাগতিক বস্তু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর তত বড় চেহারার কোনো মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর বায়মণ্ডলে কখনো প্রবেশ করেনি।-আনন্দবাজার