ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগুনে ঘর পুরেনি পুরেছে অন্ধ ডিম বিক্রেতার স্বপ্ন

মাহবুব আলম আরিফঃ

আমিতো কারো কোন ক্ষতি করিনি তবে কেন আল্লাহ আমাকে এতো বড় শাস্তি দিলো। এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন অন্ধ ডিম বিক্রেতা সাদেক। মুরাদনগর সদরের মাষ্টার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন তিনি। বড় মেয়ের বিয়ে হলেও ডিম বিক্রয়ের লাভের টাকা দিয়েই চলে ছোট ২ মেয়ের লেখাপড়া ও তিন মাসের একমাত্র ছেলের ভরন পোষন।

৪৫ বছর বয়সী সাদেক জন্মের পর সাধারন মানুষের মতোই দেখতে পেতো কিন্তু বয়স বারার সাথে সাথে তার দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। প্রায় ১০ বছর আগে থেকেই কারো না কারো সহযোগীতা নিয়ে চলতে হয় তাকে। তাই বলে কারো কাছ থেকে হাত পেতে কিছু নেবেন সেটা কখনোই সে মানতে পারেন না। প্রথমে মুরাদনগর খেলার মাঠে আইসক্রিম বিক্রয় করতেন। যখন দেখলেন আইসক্রিম বিক্রয়ের টাকা দিয়ে তার পরিবারকে চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তখন তিনি সিদ্ধ ডিম বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেন। কারন আইসক্রিম সারা বছর বিক্রয় করা যায় না। সিদ্ধ ডিম বার মাস বিক্রয় করা যায়। তখন থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে মুরাদনগর বাজারে মোহন মার্কেটের সামনে সিদ্ধ ডিম বিক্রয় করতেছেন তিনি। আর এই ডিম বিক্রয়ের লাভের টাকা দিয়েই চলছিলো সাদেকের পরিবার। কিন্তু এক আগুনে ছোয়ায় পুরে যায় সাদেকের তিল তিল করে গড়ে তোলা সংসার ও তার জমানো স্বপ্ন। গত ২৭ নভেম্বর রাতে আগুন লেগে সাদেকের ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্র, জমানো টাকা ও দশ হাজার টাকার ডিম পুরে ছাই হয়ে যায়। এতোদিন ভাগ্য তাকে ধরা দিলেও। এখন যেন ভাগ্য সে পালিয়ে বেরাচ্ছে। পুজির অভাবে সিদ্ধ ডিম বিক্রয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হতে যাচ্ছে মেজ মেয়ের এইচ এসসির লেখাপড়া  ও ছোট মেয়ের সপ্তম শ্রেনীর একমাত্র ছেলের ভরন পোষনতো থাকছেই। আজ যেন সাদেকের পাশে দারানো মতোও কেউ নেই। সাদেক মিয়া উপজেলার জাহ্পাুর ইউপির শুশুন্ডা গ্রামের মৃত আয়ব আলীর ছেলে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

আগুনে ঘর পুরেনি পুরেছে অন্ধ ডিম বিক্রেতার স্বপ্ন

আপডেট সময় ০৫:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭
মাহবুব আলম আরিফঃ

আমিতো কারো কোন ক্ষতি করিনি তবে কেন আল্লাহ আমাকে এতো বড় শাস্তি দিলো। এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন অন্ধ ডিম বিক্রেতা সাদেক। মুরাদনগর সদরের মাষ্টার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন তিনি। বড় মেয়ের বিয়ে হলেও ডিম বিক্রয়ের লাভের টাকা দিয়েই চলে ছোট ২ মেয়ের লেখাপড়া ও তিন মাসের একমাত্র ছেলের ভরন পোষন।

৪৫ বছর বয়সী সাদেক জন্মের পর সাধারন মানুষের মতোই দেখতে পেতো কিন্তু বয়স বারার সাথে সাথে তার দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। প্রায় ১০ বছর আগে থেকেই কারো না কারো সহযোগীতা নিয়ে চলতে হয় তাকে। তাই বলে কারো কাছ থেকে হাত পেতে কিছু নেবেন সেটা কখনোই সে মানতে পারেন না। প্রথমে মুরাদনগর খেলার মাঠে আইসক্রিম বিক্রয় করতেন। যখন দেখলেন আইসক্রিম বিক্রয়ের টাকা দিয়ে তার পরিবারকে চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তখন তিনি সিদ্ধ ডিম বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেন। কারন আইসক্রিম সারা বছর বিক্রয় করা যায় না। সিদ্ধ ডিম বার মাস বিক্রয় করা যায়। তখন থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে মুরাদনগর বাজারে মোহন মার্কেটের সামনে সিদ্ধ ডিম বিক্রয় করতেছেন তিনি। আর এই ডিম বিক্রয়ের লাভের টাকা দিয়েই চলছিলো সাদেকের পরিবার। কিন্তু এক আগুনে ছোয়ায় পুরে যায় সাদেকের তিল তিল করে গড়ে তোলা সংসার ও তার জমানো স্বপ্ন। গত ২৭ নভেম্বর রাতে আগুন লেগে সাদেকের ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্র, জমানো টাকা ও দশ হাজার টাকার ডিম পুরে ছাই হয়ে যায়। এতোদিন ভাগ্য তাকে ধরা দিলেও। এখন যেন ভাগ্য সে পালিয়ে বেরাচ্ছে। পুজির অভাবে সিদ্ধ ডিম বিক্রয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হতে যাচ্ছে মেজ মেয়ের এইচ এসসির লেখাপড়া  ও ছোট মেয়ের সপ্তম শ্রেনীর একমাত্র ছেলের ভরন পোষনতো থাকছেই। আজ যেন সাদেকের পাশে দারানো মতোও কেউ নেই। সাদেক মিয়া উপজেলার জাহ্পাুর ইউপির শুশুন্ডা গ্রামের মৃত আয়ব আলীর ছেলে।